শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফতুল্লায় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নে মারামারি

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বৈধ কমিটি নেই ফতুল্লার যমুনা ও মেঘনা ডিপোর ট্যাংক লরি শ্রমিক কমিটির। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কারণে শ্রমিক কমিটির গঠন হচ্ছেনা। দিনের পর দিন শ্রমিকদের উপর নির্যাতন করেই যাচ্ছে একটি পক্ষ।

 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ট্যাংক লরি শ্রমিক কমিটির অফিসে সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান বাবুল, লড়ি চালক আলামিন ও শাহীনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

 

মালিক সমিতির সভাপতি সাইদুজ্জামান রিপনের শেল্টারেই আফসু, সালাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার পর পরই পুরো মেঘনা-যমুনা ট্যাংক লরি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। হামলার ঘটনায় খলিলুর রহমান বাবুল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আফসুসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 

ফতুল্লার মেঘনা ও যমুনা ডিপোর অঘোষিত নিয়ন্ত্রক আফসু, সালাউদ্দিন, রহমত উল্লাহ ভান্ডারীসহ বেশ কয়েকজন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে সাইদুর রহমান রিপন অন্যতম। সম্প্রতি  ট্যাংক লরি মালিক সমিতি ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে সাইদুর রহমান রিপনকে। এই মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের দ্বারাই বছরের পর বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে শ্রমিক কমিটি। আফসু, সালাউদ্দিন ও রকমত উল্লাহ ভান্ডারীর কতৃত্বেই চলে লেজুর ভিত্তি শ্রমিক কমিটি। ফলে প্রকৃত শ্রমিকরা মেঘনা-যমুনা ডিপোতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

 

শ্রমিক কমিটির নির্বাচন না দেয়ার কারণ জানতে সোমবার কমিটির অফিসে গিয়েছিলেন সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান বাবুলসহ আলামিন নামের একজন লরি চালক। এসময়  শ্রমিক কমিটির অফিসে অবস্থান করছিলেন আফসার উদ্দিন আফসুসহ তার লোকজন। বাবুল অফিসে অবস্থানরত ব্যাক্তিদের কাছে বৈধ কমিটি না করার বিষয় জানতে চান। আর এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে আফসু ও তার লোকজন। এরই মধ্যে বাবুল ও আলামিনকে শ্রমিক কমিটির অফিসের ভেতরেই মারপিট করে আফসু ও তার লোকজন। তাদের রক্ষার জন্য অফিসে এসের্ছিল শাহীন নামের একজন শ্রমিক। এসময় তার উপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।

 

ট্যাংক লরি শ্রমিকদের অনেকের দাবি, শ্রমিক কমিটি না থাকার কারণে মালিক পক্ষের দ্বারা শ্রমিকরা সবসময় নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কমিটি না থাকলেও ৮০০ শ্রমিকের কাছ থেকে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা জমা করা হয় না নির্দিষ্ট খাতে।

 

শ্রমিরা জানান, ১৯৯১ সালে শ্রমিকদের সরাসরি ভোটে খলিলুর রহমান বাবুল নির্বাচিত হন। কিন্তু তার কাছ থেকে পরবকর্তীতে আফসু, সালাউদ্দিন, রহমত উল্লাহ ভান্ডারীসহ বেশ কয়েকজন সিন্ডিকেট করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর যমুনা-মেঘনা ডিপোর শ্রমিকদের সকল সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

 

থানায় করা অভিযোগ প্রসঙ্গে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, শমিক সংগঠনের অফিসের মারামারির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর