শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ফতুল্লায় চাঁদাবাজী মামলার বাদীকে হুমকি

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : প্রায় ২০ বছর আগে দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় জমি ক্রয় করেছিল আনোয়ার হোসেন। সম্প্রতি তার জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগায় এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু রবিন খান বাবু ও আলী হোসেন নামের দুই সহোদয়। এরপরই তারা জমির মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে বলে অভিযোগ।

 

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে আনোয়ার হোসেন। পুলিশ চাঁদাবাজী মামলায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করে এবং একটি জাল দলিল উদ্ধার করে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠায়। জেল হাজতে থাকাবস্থায় দুই ভাইয়ের অপর সহযেগীরা মামলার বাদীকে দিয়ে যাচ্ছে নানা রকম হুমকি।

 

মামলা করেও বিপাকে পরেছে আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবার। এব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি  সাধারণ ডায়রীও করেছেন। মামলার পর জিডি করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বাবুর লোকজন। 

 

দক্ষিন সস্তাপুর এলাকায় ভেন্ডার হিসেবে পরিচিত রয়েছে রবিন খান বাবু। তবে এর মধ্যে তার আরো একটি পরিচয় হলো তিনি ভুমি দস্যু। ১৯৯৯ সালে দক্ষিন সস্তাপুর এলাকায় একটি জমি ক্রয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। বিগত কয়েক মাস আগে তার জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগায় বাবু ও তার লোকজন। এরপর প্রকৃত জমির মালিকের কাছে চাওয়া হয় ১০ লাখ টাকা চাঁদা।

 

আনোয়ার হোসেন ফতুল্লা মডেল থানায় এ ব্যাপারে একাধিকবার অভিযোগ করেন। কিন্তু এতে দমেনি বাবু ও তার লোকজন। সর্বশেষ গত ২ মে ফতুল্লা মডেল থানায় আনোয়ার হোসেন বাবুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে জমির মালিক। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বাবু ও তার ভাই আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলে। আদালত অভিযুক্তদের জেল হাজতে পাঠায়।

 

এ ঘটনার পর বাবুর লোকজন মামলার বাদী আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। উপায়ন্তর না পেয়ে বাদী ফতুল্লা মডেল থানায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারণ ডায়রী করেন। 

মামলার তদন্তকারী ফতুল্লা মডেল থানার এসআই অফিসার মিজানুর রহমান বলেন,মামলা হওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাই। এর আগে বাবুর বাসা থেকে একটি জাল দলিলও উদ্ধার করি। গ্রেফতারের সময় বাবু জমিটি হারুন নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ক্রয় করেছে বলে দাবী করেন। কিন্তু হারুন দাবী করেন তিনি ঐ জমির কোন ওয়ারিশ সূত্রে মালিকও নয়। তিনি বাবুর কাছে জমি বিক্রিও করেনি। বিজ্ঞ আদালত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। বাদীকে হুমকি  দেয়ার বিষয়ে জিডি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এমন একটি ঘটনা আমি শুনেছি। জিডির তদন্ত করে উর্দ্ধতন অফিসারে নির্দেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন,ভুক্তভোগী হয়ে থানায় মামলা করেছি। এখন মামলা করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসলাম হোসেন বলেন,বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করে আসামী গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরপর যদি আসামী পক্ষের লোকজন বাদীকে কোন রকম হুমকি দেয় থাকে,তাহলে  তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর