মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

ফতুল্লার আকবর নগরে ফের টেটা যুদ্ধ, আহত ১০

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লার বক্তাবলীর আকবর নগরে ফের সামেদ আলী হাজী ও রহিম হাজীর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে জয়নাল (৬০), নাসিমা (৫০), আউশি (৩০), আলমগীর (৪৫), রনি (৩৫) ও নবী হোসেন (২৭) এর নাম জানা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭/৮টি বাড়ি ভাংচূরের ঘটনা ঘটেছেেএদের মধ্যে  টেটা বিদ্ধ জয়নাল ও নবী হোসেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১টি টেঁটা উদ্ধার করেছে।  যে কোন ধরনের সংঘর্ষরে আশংকা করছে এলাকাবাসী।

বক্তাবলী ইউনিয়নের চরাঞ্চল খ্যাত আকবর নগর। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে থেমে থেমে দুটি পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের তাঁর কক্ষে বেশ কয়েকদিন আগে সামেদ আলী হাজী ও রহিম হাজীকে ডেকে এনে আপোষ করে দেয়। কিন্তু এর পরও বৃহস্পতিবার দুটি পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।

এলাকাবাসী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সামেদ আলী হাজীর বাড়ির লোকজন রহিম হাজীর ভাতিজা নবী হোসেনকে মারধর করে। এসময় নবী হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়। মারাত্মক আহত নবী হোসেনকে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

এরপর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তার স্বজনরা। নবী হোসেনের উপর হামলা ঘটনার পর নবী হোসেনের স্বজনরা সামেদ আলী হাজীর পক্ষের লোকজনদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচূর করে।

সামেদ আলীর পক্ষের আলমগীর বলেন,হঠাৎ করেই প্রায় ৭০/৮০ জনের একটি বাহিনী এসে সামেদ আলী বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তাদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র ও টেঁটা ছিল। হামলাকারীরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেই মহিলাদের মারপিট করে। এসময় হামলাকারীরা শাফি মাদবর, করিমুল্লাহ সহ ৭/৮ জনের বাড়ি ঘর ভাংচূড় করে এবং দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ৫/৬টি গবাদী পশুও তারা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।

সামেদ আলী হাজী মুঠো ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন,আকবর নগর এলাকার নতুন সন্ত্রাস জন্ম দিচ্ছে রহিম হাজী। কেরনীগঞ্জের কাশেম নেতার মাধ্যমে এলাকায় এখন সে ত্রাসের সৃষ্টি করছে। রহিম হাজীর সাথে আমার যে মনোমালিন্য ছিল তা ফতুল্লা মডেল থানার ওসি সাহেব গত কয়েকদিন আগে মিমাংসা করে দেয়।

হঠাৎ করে রহিম হাজী ও তার লোকজন কাশেম নেতার নির্দেশে আজকে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাংচূর করে। আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামেদ আলী হাজী ও তার লোকজন সব সময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে একের পর এক অঘটন ঘটায়। সম্প্রতি রহিম হাজীও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। কেরানীগঞ্জের কাশেম  নেতা আকবর নগর এলাকায় যতো অঘটনের মূল। কখনো কাশেম থাকে সামেদ আলীর পক্ষে। আবার কখনো সে রহিম হাজীর।  যেদিকে কাশেম সেদিকের পাল্লাও ভারি হয়।

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম বলেন,আকবরনগরে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। উভয় পক্ষ আর কখনো মারামারি করবে না বলে আমাকে কথা দেয়। এরপরও বৃহস্পতিবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এখনো পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমান জানা  যায়নি। কোন পক্ষই বাদী অভিযোগ দেয়নি। পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ কোন অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করতে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর