শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফতুল্লা বিসিকে মারধর করে চাঁদাবাজির চেষ্টা : গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লার শাসনগাঁওস্থ বিসিক নগরীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুই চাঁদাবাজ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আ. জব্বারের ছেলে বাহাদুর হোসেন জনি ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম অন্তর।

 

গত ১ মাস ধরে এ দুইজন আরও কয়েকজনকে নিয়ে বিসিকের শাহ আমানত নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করছিলো। শনিবার বিকেলে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ফ্যাক্টরি মালিক ও শ্রমিকদের মারধর করে তারা। 


মাসদাইর শেরে বাংলা রোড এলাকার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে হায়দার আলী সুমনের করা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি থেকে সুমন ও তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন শাহ বিসিকে শাহ আমানত নামের নিটিং ফ্যাক্টরীর মালিক হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর আগে তাদের ফ্যাক্টরীস্থলে এমটি নিটিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো।


 ফ্যাক্টরী চালু করার পর থেকেই বাহাদুর ও কামরুল ইসলাম অন্তর সহ কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে।  ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টার দিকে ২/৩ জন সহযোগী সহ ওই দুই বিবাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফ্যাক্টরীর দারোয়ান তোফাজ্জলকে মারধর করে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। 


চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমার ভাইকে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময়ে আমি অফিসে ঢুকে প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময়ে বাহাদুর আমার পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও কামরুল আমার ১৮ হাজার টাকা দামের মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। 


আমাদের ডাক চিৎকারে ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে ওরা শ্রমিকদের উপর চড়াও হয়। পরে শ্রমিকরা তাদের আটক করে। ঘটনা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে দুইজনকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে কোর্টে প্রেরণ করেছে। সূত্র জানায়, ওই দুইজন নিজেদের আজমেরী ওসমানের লোক বলে পরিচয় দিয়েছিলো। তবে তা মিথ্যা বলে জানা গেছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর