বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

প্রসব সেবা জোরদার বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক প্রসব সেবা জোরদার বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বন্দর উপজেলা কনফারেন্স হলে সকাল থেকে দিন ব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী. এনজিও কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

 

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ব্রজ গোপাল ভৌমিক।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, উপ পরিচালক ডা. তৃপ্তিরানী, বশির উদ্দিন, ইফতেখার, উপ সচিব মোখলেসুর রহমান, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ।

 

বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ্ মো. নূরের সঞ্চালনায়, কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ক.ম নুরুল আমিন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন । কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,  মেডিক্যাল অফিসার ডা. অমল চন্দ্র দাস।

 

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কবির হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদস্য জিএম সুমন, শাহ জামাল প্রমুখ। 

 

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সুস্থ্য ও স্বাভাবিক প্রসব করানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এতে করে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমে আসবে। আমাদের মায়েরা যাতে নরমাল ডেলিভারি করাতে পারে সেদিকে জনপ্রতিনিধিদের ভূমকা গুরুত্বপূর্ণ। নরমাল ডেলিভারির ফলে শিশু যেমন সম্পূর্ণ মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকে এবং স্বাস্থ্য খাতে অনেক ব্যায় কমে আসে। 

 

সরকারের চিকিৎসা সেবার সুযোগ সুবিধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য বিনামূল্যে মায়েদের সকল চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য মায়েদের বুঝাতে হবে যাতে সিজারিয়ান পরিত্যাগ করে নরমাল ডেলিভারির দিকে এগিয়ে আসেন। তা হলে শিশুটি পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাবে। সেই সাথে মায়ের দুধের ফলে শিশুটি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা মায়েদের পেট কাটা বন্ধ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করেছি। জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিলে আমরা আগামী প্রজন্মকে রক্ষা ও মায়েদের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারব।

 

অবৈধ ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বতর্মানে দেশে কিছু ক্লিনিক রয়েছে যারা অদক্ষ দাই দ্বারা বা টাকার জন্য মায়েদের পেট কেটে অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ সকল অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করা দরকার। সে জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। মায়েরা নিজের ও আগত সন্তানের স্বাস্থ্য নিরাপদ রাখার জন্য সরকারি সেবা কেন্দ্রের দিকে যোগাযোগ রাখেন তা হলে অবৈধ ক্লিনিকগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কাম্য।

 

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সবশেষে সভাপতি ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালা শেষ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর