বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পুলিশের উচ্ছেদেও কাজ হচ্ছে না, এখনো ফুটপাতে হকারদের রাজত্ব

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় হকারদের দখলদারিত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়কে যেন সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে ফুটপাত নিজেদের রাজত্ব কায়েম করেছে হাকাররা। হাকারদের এই দখলদারিত্ব কমাতে মাঝেমধ্যে ছোট ছোট উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালনা করছে পুলিশ।

 

তবে এই ছোট ছোট উচ্ছেদ অভিযানে কোন ভালো ফলাফল আসছে না; বরং পুলিশ এবং হকারদের উঠবস খেলা উপভোগ করছে সাধারণ মানুষ।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব পর্যন্ত  হকার আর হকার। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ সড়কে কিছু সংখ্যক হকারের উপস্থিতি দেখা গেলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই হকারদের ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় রাস্তার দু’পাশ।

 

এ সময়, ফুটপাতের উপরে শার্ট, প্যান্ট, জুতো, প্রসাধনী সামগ্রী ও বিভিন্ন খাবারসহ হরেক রকম জিনিসের পসরা সাঁজিয়ে বসে তাঁরা।

 

আর শীতকাল আসাতে গরমকাপড় বিক্রি করতে নতুন করে ভীড় করছেন অনেক মৌসুমী ব্যাবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তৈরি ফুটপাতের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় সেখান দিয়ে স্বাচ্ছ্যন্দ মতো চলাচল করতে পারছে না নগরবাসী। উল্টো পোহাচ্ছে ভোগান্তি।

 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চাষাঢ়া নূর মসজিদের সামনে নিজের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে লোপা নামে কলেজ পড়–য়া এক শিক্ষার্থী বলেন, হকারদের কারনে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। প্রতিদিনই বাড়ি থেকে কলেজ এবং কলেজ থেকে বাড়িতে যাতায়তের সময় ফুটপাত দিয়ে চলাচল করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু হকার আর ক্রেতাদের ভীড় অতিক্রম করে এ পথে হাঁটা যায়না! আর মহিলাদের জন্য তো বরাবরই সমস্যাটা বেশি।

 

অন্যদিকে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মোহাম্মদ পরশ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, এই মর্ডানের সামনেই আসলে হকারদের সবচেয়ে ভীড় হয়। দেখাযায় কোন কোন সময় হকারদের কারনে ফুটপাত একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে মাঝেমধ্যে দৌড়ানি দেয়, কিন্তু লাভ হয়না! একটু বাদে আবার এসে উপস্থিত হকাররা।

 

কালীবাজার আমিজ ভবনের পাশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার এ বিষয়ে বলেন, আমরা তো আর মাগনা (টাকা ছাড়া) বাসিনা। কয়েকটা ভাগে প্রতিদিন ১০০ টাকার বেশি খরচ করলে বাদে এদিকে বসা যায়। তবুও হঠাৎ কইরা পুলিশ আইসা আমাদের বিক্রির মালপত্র নিয়া যায় আবার উঠায় দেয়। আসলে এত এত হকার এগুলো যাইবো কই? এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি কইরা আবার যার যার মতো বইসা পরে।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, হকারদের কারণে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে এটা জানি এবং প্রতিদিনই আমরা দায়িত্বের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আবার বসলে আবার অভিযান পরিচালনা করবো।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এহতেশামূল হক বলেন, আমাদের এই হকার সমস্যা দূর করার জন্য আগে থেকেই উদ্যোগ ছিলো, তবুও এই সমস্যাটি দূর হচ্ছেনা। তাই আমি মনেকরি যারা দায়িত্বশীল আছে বা যাদের ভূমিকা রয়েছে তাঁদের কমিটমেন্টর অভাব রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর