মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পাটগুদাম না হলে না’গঞ্জে পাট ব্যবসা থাকবেনা : আরজু ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : কাঁচাপাট রফতানীকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের (বিজেএ)কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়ার বলেন, পাট ব্যবসায়ীদের জন্য এখন গুদামের প্রয়োজন। এখন যদি সরকার দ্রুততার সাথে গুদাম ব্যবস্থা না করে দেন তবে প্রাচ্যের ড্যান্ডিতে একটিও পাটব্যবসা থাকবেনা। পাটগুদামের জন্য নতুন করে আমাদের দাবি তুলতে হবে।


শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ) কার্যালয়ের আফজাল মিলনায়তনে ৫৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) অত্যন্ত আন্তরিকভাবে পাটশিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি।  পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে।


বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় পাটশিল্পে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 


কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকার বাধা প্রদান করবে না বলেও আমাদের মাননীয় মন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়েছেন। 


এছাড়া সভায় সংগঠনটির সভাপতি শেখ সাঈদ আলী বলেছেন, কাঁচাপাট উৎপাদন আবারও আগের জায়গাতে যাবে। অনেক পাট উৎপাদন হবে দেশে। এখনও ৭০ থেকে ৮০ প্রকারের কাঁচা পাট দেশে উৎপাদন হয়। এসব পাট কেনার ক্ষমতা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের নেই। তাই কাঁচাপাট অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। 


কাঁচাপাটের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরও ভাগ্য পরিবর্তন হবে। তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাঁচাপাটের আন্তর্জাতিক বাজার অচল অবস্থা থেকে আবার সচল হয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ হবে এমন গুজব তৈরি করা হয়েছিলো তবে আমরা নিশ্চিত আছি কাঁচাপাট রপ্তানি আর বন্ধ হবেনা।  বিগত চার বছরের অচল অবস্থা কাটিয়ে আমরা সচল অবস্থায় ফিরে এসেছি। পাট ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন কাজ করছে।


এ সময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিপার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো.রেজাউল করিম, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. কুতুবউদ্দিন, পরিচালক মো. লিয়াকত হোসেন, এফ.এম সাইফুজ্জামান, নুরুল ইসলাম বাবুল, শেখ দাউদ হায়দার, টিপু সুলতান, জাহিদুল ইসলাম, এসএম সাইফুল ইসলাম পিয়াস, শেখ কাউসার আলী, শেখ শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান শরীফ, তোফাজ্জল হোসেন, নুরুল হোসেন, খন্দকার আলমগীর কবির, শেখ রুহুল আমিন, এস এম হাফিজুর রহমান প্রমুখ। সভায় দেশের বিভিন্ন  জেলার পাট ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর