বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পরিবেশ দূষণের অভিযোগে ৫টি অবৈধ ইটভাটাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এবং ছাড়পত্র না থাকায় পাঁচটি অবৈধ ইটভাটাকে পঁচিশ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে তিনটি ইটভাটার চুল্লি ভেঙ্গে দিয়ে উৎপাদন বন্ধসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। 

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিষ্টেট্র মাকসুদুল ইসলামের নের্তৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ক্রোকেরচর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এই র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর কর্মকর্তারাসহ বিপুল পরিমান সদস্য সহযোগিতা করে। 

 

ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক মো: সাঈদ আনোয়ার, র‌্যাব-১১ সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও ফতুল্লা থানার পরিদর্শক আজহার হোসেনসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অফিসের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মাকসুদুল ইসলাম জানান, দেশে বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে শতকরা ৫৮ শতাংশই ইটভাটাগুলো দায়ী। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়া বিপুল সংখ্যক ইটাভাটা এখন পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে রূপান্তর না করায় অর্থদন্ড করাসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। 

 

এরই ধারবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা মেনে না চলায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন সংশোধিত আইন অনুযায়ী পরিবেশ দূষণকারি পাঁচটি ইটভাটাকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে পঁচিশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন পরিচালিত তিনটি ইটভাটার চুল্লি ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিভিয়ে দেয়। পরে ভেকু দিয়ে এই তিনটি ইটভাটা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট ইৎপাদনসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

 

নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মনিটরিং টীম এসব ইটভাটাগুলোকে স্বার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবে। দন্ডপ্রাপ্ত কোন ইটভাটা আইন অমান্য করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা  হবে। এছাড়া পুরো শুষ্ক মৌসুম ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক মো: সাঈদ আনোয়ার জানান, নারায়ণগঞ্জে জেলায় ২শ’ ৪০টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে অনুমোদিত ২শ’ ৪০টি ইটভাটায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। আর, অনুমোদনবিহীন ৩৬টি ইটভাটা এতোদিন সনাতন পদ্ধতিতে চললেও ইতিমধ্যে ৩০টি জিগজাগ পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হয়েছে।

 

তিনি জানান, ছয়টি ইটভাটা ক্রোকেরচর এলাকায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে কোন ইটভাটাই অবৈধভাবে চলতে দেয়া হবে না। পর্যাক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর