মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নৌকার দাবিতে প্রকম্পিত বন্দর

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৮  

মাহফুজ সিহান (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের ৫টি নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রার্থী দেয়ার জোরালো দাবি তুলে ধরেছেন জেলা আওয়ামীলীগ ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় বন্দরে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে থানা আওয়ামীলীগ এর উদ্যেগে সংদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ দাবি তুলে ধরেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। থানা আওয়ামীলীগের এ অনুষ্ঠানকে সফল করতে প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে বন্দরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষের মিছিল আসতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর পর ভারী বৃষ্টিও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের টলাতে পারে নি।

 

নৌকার স্লোগানে মুখর বিশাল মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে আসেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুসহ আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর এ এক অন্যরকম ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে দেখলো বন্দরবাসী। লাখো আওয়ামীলীগ কর্মীর নৌকা স্লোগানে প্রকম্পিত বন্দরের মাটি। সবার একটিই দাবি, জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থী।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, গত বছরে মার্চ মাসে কাঁচপুরে এক জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে আমরা নৌকার দাবি তুলেছিলাম। আমাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে, কিন্তু এবার আর সেই সুযোগ নেই। এখানে ৫টি আসনের নৌকার প্রার্থী দাবির সাথে সাথে উপজেলা নির্বাচনে ৫টিই নৌকা থাকবে। আমরা এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ। লাঙ্গলের বোঝা আর আমরা বইতে চাই না। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও বলেছে সবাই বিভিন্ন জিনিস চায় আর আপনারা সবাই এক দাবি শুধু নৌকা চান।

 

গণভবনে বর্ধিত সভাতেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছি তারা আমাদের দাবির কথা নেত্রীর কাছে পৌঁছেছেন কি না। তারা বলেছেন, নেত্রী এ বিষয়ে অবগত হয়েছে। আমাদের দাবি সম্পর্কে অনেকে ভুল বোঝেন, আমাদের দাবি হলো নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা দেয়া হোক। মহাজোটকে ছাড় দিতে হয় অন্য কোন জেলায় দেন। আমরা বন্ধুও হারাতে চাই না। নারায়ণগঞ্জের সবাই চাচ্ছে নৌকা দেয়া হোক। আওয়ামীলীগে ৬০ হাজার অনুপ্রবেশকারী আজ গলার কাঁটা হয়ে ঠেকেছে।

 

এরা বিএনপি, জামাত থেকে এসেছে। অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেড় বছর আগে আইভীর হয়ে আপনারা যেমন নৌকার বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন ঠিক তেমনিভাবে সামনের নির্বাচনে আপনারা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। এখানে ৭-৮ জন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন যাকেই নেত্রী নৌকার মনোনয়ন দেবেন আমরা সবাই তার নৌকায় গিয়ে উঠবো।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, যারা নৌকার প্রার্থীতা চাচ্ছেন, যারা নৌকার প্রচার করবেন, তাদের সকলকেই বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কাজ করেছেন তা তুলে ধরতে হবে। বর্ধিত সভায় নেত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে যে জনপ্রিয় নেতা তাকেই নেত্রী নৌকা দেবেন। সুতরাং যারা মাঠে-ঘাটে-হাটে মানুষের সাথে মিলে উন্নয়নের কথা বলবেন নেত্রী তাকেই নৌকা দেবেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের ঘাটি।

 

নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় মিউচুয়্যাল ক্লাবে বঙ্গবন্ধু বসে মিটিং করেছিলেন, কমিটি করেছিলেন পরবর্তীতে রোজ গার্ডেনে গিয়ে এ আওয়ামীলীগের আত্মপ্রকাশ করেছিলো। সেই সুবাদে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের জন্মস্থান। বিগত ১৮ বছরে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে নৌকা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু সিটি নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দিয়ে এ এলাকার মানুষ প্রমাণ করেছে এখানে নৌকাটা অত্যন্ত জরুরী। এখানে যত নৌকার প্রার্থী বেশি হবে ততই ভালো।

 

আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা হবে। কিন্তু যাকেই নৌকা দেয়া হবে তার জন্যই কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমরা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে না বলে আমরা নৌকার পক্ষে কথা বলবো। সারা বাংলাদেশে বহু আসন আছে ওইগুলোতে এরশাদ সাহেবকে ছাড় দেয়া হোক।

 

আমরা নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গল চাই না, শুধু তাই নয় আমরা লাঙ্গল মার্কা আওয়ামীলীগও চাই না। আমাদের এখানে কি হচ্ছে, স্টেজে বিএনপি, জাপার নেতাদের তুলে জাতীয় নেতা হয়ে যায় অনেকে। আমাদের জাতীয় নেতা হওয়ার প্রয়োজন নেই। আওয়ামীলীগের নেতা হয়েই মানুষের সেবা করা যা। আমরা খাঁটি আওয়ামীলীগ কর্মী চাই।

 

আমরা আওয়ামীলীগের কর্মীরা যখন বিরোধী দলে থাকি তখন অনেক বেশি সংগঠিত থাকি। কিন্তু ক্ষমতায় আসলে আমরা একে অন্যের নামে কটু কথা বলি। তা না করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো আমাদের মানুষের দ্বারে দ্বারে তুলে ধরতে হবে। শুধু আওয়ামীলীগের নেতাকর্র্মীদের ভোটে আমরা জয়ী হতে পারবো না।

 

সাধারণ মানুষের ভোট পেতে হলে মাটি ও মানুষের সাথে মিশতে হবে, ভালো ব্যবহার করতে হবে। গুন্ডামী করে, দখল করে ভোট পাওয়া যাবে না। আমরাও এমন নেতা চাই না। আপনারা সবাই গিয়ে কি কারণে নৌকার প্রয়োজন আবার সেটি মানুষকে বোঝাবেন।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো.শহীদ বাদল বলেন,বন্দরবাসী এতোদিন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ছিলো। বিএনপি’র আমলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিলো। আজ সেই রাজপথের লাশের আর্তনাদ থেকে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা চাই। সিটি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ সেলিনা হায়াত আইভীকে বিজয়ী করে প্রমাণ করেছিলো নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, সিটি নির্বাচনে প্রচারণার সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ আসনে লাঙ্গল মার্কা আওয়ামীলীগ দেখেছেন। তারপরেও সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে নৌকার প্রার্থী জনপ্রিয় নেত্রী আইভীকে জয়ী করেছে। এখানে লাঙ্গলের কারণে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি লাঙ্গলের কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারে নাই।

 

তাকে জেলা পরিষদের সদস্য না করে সদস্য করা হয়েছে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতিকে। আওয়ামীলীগের সকল লোককে মাইনাস করে জ্বালাও পোড়াও করা বিএনপির কাউন্সিলরদের নিয়ে বর্তমান সাংসদ আপামর জনসাধারণের উন্নয়ন দেখাচ্ছেন। আমি চাই এলাকার মানুষ নৌকায় ভোট দেক। উন্নয়নের প্রচারণা চালাতে ঘরে ঘরে ৩০ হাজার লিফলেট বিতরণ করে মানুষদের জানাচ্ছি কেন তারা নৌকায় ভোট দিবেন। একবার এক আমলাকে আমরা এমপি বানিয়ে দিয়েছি। আসুন এবার আওয়ামীলীগের যোগ্য প্রার্থীকে সাংসদ বানাই।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জে নৌকা নেই বলে এখানে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। জাপার এমপি থাকার কারণে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তৃণমূল নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, বঞ্চিত। বাংলাদেশের কোথায় কি হবে তা জানি না। আমরা নারায়ণগঞ্জ-৫ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী চাই। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি, বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।

 

কিন্তু দীর্ঘদিন মহানগর আওয়ামীলীগের একজন সদস্যপদ পাই নি। কেন পাই নি? জাপার এমপি না কি অবজেকশন দিয়েছেন জাহাঙ্গীরকে নেয়া যাবে না। জাহাঙ্গীর নৌকার কথা বলে, লাঙ্গলের কথা বলে না। তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণ অবহেলিত, নির্যাতিত হয়েছি। আমরা নৌকা চাই। সবার পক্ষ থেকে আকুল আবেদন নারায়ণগঞ্জে নৌকা চাই।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান বলেন, এ আসনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের জন্ম। অথচ আমরা নৌকায় ভোট দিতে পারি না। আমাদের সরকারের আমলে এখন পুরো আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি, ভাইস চেয়ারম্যান জামাত, ৫ ইউনিয়েনের মাত্র দুটিতে আওয়ামীলীগ জয়ী। কলাগাছিয়া, বন্দর, মুসাপুরে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে।আমরা এটা থেকে উত্তোরণ চাই।

 

আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আগামীতে নৌকাতেই ভোট দিতে পারবো। না হলে আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন করে কি লাভ। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে দলে যাতে কোন বর্ণচোরা না ঢুকতে পারে। আওয়ামীলীগে নৌকার ক্ষেত্রে আমাদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। সবাইকে জাগিয়ে তুলতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে জাকজমকপূর্ণভাবে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান অনুষ্ঠান করবো।

 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, বন্দরবাসীর আর্তনাদের কথা, প্রার্থণার কথা নৌকা চাই। সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গিয়ে ঘরে ঘরে নৌকার কথা শুনেছেন। র্দীঘদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এলাকায় লাঙ্গলের ফলার তীক্ষè আঘাতে আমাদের আওয়ামীলীগের তৃণমুল ক্ষত-বিক্ষত, ছিন্ন-ভিন্ন হয়েছেন। আমাদের অবহেলিত তৃণমুলকে প্রাণের সঞ্চার দেয়ার জন্য আজ আমরা নিঃশর্তভাবে নৌকা চাই।

 

নেতাকর্মীদের বিরুদ্দে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, অত্যাচার ও জুলুম হচ্ছে। এ আসনের সাধারণ এক কর্মীকেও যদি নৌকা তুলে দেয়া হয় তাহলে এখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা গণজোয়ার তুলবে। যেমনি আমরা সিটি নির্বাচনে দিয়েছি। ঈদের আনন্দের তৃপ্তির মতো নৌকার মার্কায় সিল দিয়ে তেমন তৃপ্তি নিতে চাই।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে যেসব কান্ড ঘটছে তা আর দেখা যায় নি। প্রত্যেকটির এমপির জায়গায় বেশিরভাগ বিএনপি ও জামাতের লোকেরা এখন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। সমস্ত জায়গায় বিএনপি ও জামাতের আধিক্য কিন্তু যুবলীগের নেতকর্মীরা নির্যাতিত। এভাবে রাজনীতি চলবে না। এখন আমাদের নৌকা ছাড়া আর উপায় নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। সিটি মেয়র নির্বাচিত না হলে আজ আওয়ামীলীগের কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে পারতো না। এবার নৌকার সাংসদ চাই।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী এখন শুধু নৌকায় ভোট দিতে চায়। নেত্রীকে কেন্দ্রীয় নেতারা নিশ্চয়ই তৃণমূলের প্রাণের দাবি বোঝাতে সক্ষম হবেন।

 

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আদীনাথ বসু বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে নৌকাকে এগিয়ে নিতে মেনিফ্যাস্টুন তৈরী করা হচ্ছে। নির্বাচনের কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি করতে বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা। এতো বছরের লাঞ্চনা, ঘঞ্জনা, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে নৌকার কোন বিকল্প নেই। আমরা সকলে মিলে নৌকার পেছনে থাকবো এটাই দাবি ও প্রত্যাশা।

 

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ বলেন, শুধু একটি কথাই বলতে চাই, সিটি নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি আমরা নৌকার প্রতীকের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। এ এলাকার মানুষের অন্তরে নৌকা, নৌকা ছাড়া কোন কথা নাই। একটি এলাকায় ৩ বার যদি নৌকা না দেয়া হয় সেখানে সংগঠন থাকে না। তাই এ এলাকা নৌকা চাই।

 

জেলার নেতৃবৃন্দের দাবি শুনে শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে যারা বিএনপি-জামাতের সাথে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো নৌকা ডুবানোর জন্য তাদের সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে জনগণের নৌকাকে নেত্রী আইভীর মাধ্যমে বিজয়ী করে এনেছেন।

 

এরপর নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করে ঠিকই আপনাদের জেলা কমিটি দিয়ে আপনাদের সম্মানিত করছে। নেত্রী তৃণমূলের কথাই শুনবেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সৃষ্টি এ নারায়ণগঞ্জের মাটিতে হয়েছে। নৌকা মার্কায় সর্বপ্রথম নির্বাচন এ নারায়ণগঞ্জেই হয়েছে। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন নৌকা এখানে অবশ্যই সম্মানিত হবে।

 

আপনারা আমাকে সেসকল কথা জানিয়েছেন তা আমি অক্ষরে অক্ষরে নেত্রীর কাছে বলবো। দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গায় যখন নির্বাচন করা যায় না তখন সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই হতাশায় ভোগেন। জেলা কমিটি হওয়ার পর এখন আপনার থানা কমিটি এবং ইউনিট কমিটিও করে ফেলেন। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের মাঝে যাতে অতিরিক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হয়। নারায়ণগঞ্জে এসে কখনোই শুনতে হয় না, আমাদের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট লাগবে।

 

আপনাদের একটিই রাজনৈতিক চাহিদা, সেটি হচ্ছে আপনারা নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। এ চাহিদার কথা আমি অবশ্যই নেত্রীকে জানাবো। আপনাদের মাথায় রাখতে হবে নৌকাকে বিজয়ী করতে পারবেন। সিটি করপোরেশন দিয়ে শুরু। তাই আমরা আশা করি আপনারা সঠিকভাবে সাংগঠনিক কাজ করলে বঙ্গবন্ধ কন্যা আপনাদের চাহিদার মূল্যায়ন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের অবদান বিবেচনা করে অবশ্যই এখানে নৌকার মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য নৌকা মার্কা দেয়া হবে বলে আমিও আশা করছি।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির কাছ থেকে আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ফরম গ্রহণ করেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম, মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নাজিম, ধামগড় ইউয়িনের চেয়ারম্যান মাসুম, নোমান, সালাম চেয়ারম্যান।

 

বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো.শহীদ বাদল, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিক মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, আরজু রহমান ভুইয়া, আব্দুল কাদির, আদীনাথ বসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান,দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইসহাক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু,বন্দর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেনসহ আওয়ামীলীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর