শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নিরাপদ সড়ক দিবসে গণজাগরণ সৃষ্টির আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি (যুগের চিন্তা) : নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামাজিক গণজাগরণ তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান।

 

বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়কে প্রাণ দিচ্ছে, আহত হচ্ছে। তাদের সুরক্ষা দিতে এই দিবসটি অন্যান্য জাতীয় দিবসের ন্যায় গতানুগতিকভাবে একদিন পালন না করে, নিরাপদ সড়ক দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত আলোচনা সভা, মসজিদ-মন্দির-গীর্জায় সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সংক্রান্ত আলোচনাসহ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সমাজের সকল স্তরে নিরাপদ সড়কের বার্তা পৌঁছে দেওয়া গেলে দিবসটি ঊদযাপনের সুফল পাওয়া যাবে।

 

তিনি জানান, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণে মতে, ২০১৫ সাল থেকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিগত ৪ বছরে ২১ হাজার ৩৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে।দুর্ঘনায় ২৯ হাজার ৩১৫ জন নিহত ও ৬৯ হাজার ৪২৮ জন আহত হয়েছে। তবে সংগঠিত দুর্ঘটনার সিংহভাগই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না। 

 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিগত ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৬৪২ জন নিহত ২১ হাজার ৮৫৫ জন আহত হয়েছে। ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬হাজার ৫৫ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৯১৪ জন আহত হয়েছে। 

 

২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩৯৭ জন নিহত  এবং ১৬ হাজার ১৯৩ জন আহত হয়েছে। ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৬ জন।

 

বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী উল্লেখ করেন, বিগত ৪ বছরে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৩১ হাজার ৯৪টি যানবাহন আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২১.৩৩ শতাংশ বাস, ২১.১৮ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৬.৮৭ শতাংশ। কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ১৪.২৫ শতাংশ অটোরিক্সা, ১৮.৩৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯.১৮ শতাংশ ব্যাটারি চালিত রিক্সা এবং ৮.৮৩ শতাংশ নছিমন করিমন ও ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

 

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকালে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকারের সময়ে সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বেড়েছে, এই সময়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং বিপদজনক ওভারটেকিং বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

 

আয়তন ও জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় বাংলাদেশে যেভাবে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। ২০২১ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে জাতিসংঘের অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সড়কে পথচারীর মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এই অঙ্গীকার নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে সংগঠনটি।

এই বিভাগের আরো খবর