বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল, বাজারে ক্রেতা সমাগম কম  

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণায় বাজারগুলোতে হ্রাস পেয়েছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকলেও ক্রেতা না থাকায় ব্যবসায়ী এবং দোকানীরা পার করছেন অলস সময়।
 

শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে চাল, ডাল, তেলসহ কাঁচা বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। দাম কম থাকার পরও ক্রেতা সমাগম না থাকার কারণ জানতে চাইলে দ্বিগুবাবুর বাজারে একজন পাইকারী বিেেক্রতা জানান, করোনাভাইরাস রোধে ছুটি থাকায় অনেকে গ্রামে চলে গিয়েছে। আবার হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। শহর জনশূন্য হয়ে পড়ায় বিক্রি অনেকটা কমে গেছে।
 

শহরের মিশনপাড়া থেকে দ্বিগুবাবুর বাজারে আসা মান্নান নামের একজ ক্রেতা জানান, নিত্যপণ্যের এক মাসের যা যা দরকার ছিল তা আগেই কিনে রেখেছি, এখন শুধু শাক সবজি কিনতে আসছি। বাজারে ক্রেতা কম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ যা কেনার গত এক সপ্তাহ আগে তা কিনে ফেলেছে। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনের অধিক কিনে মজুদ করে রেখেছে। এখন আর কী কিনবে।
 

দ্বিগুবাবুর বাজারের একজন পাইকারী বিক্রেতা জানান, বাজারে এখন পেঁয়াজ, রোশন, আলুসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কম রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। আমাদের বিক্রি প্রায় তিণগুণ কমে গেছে। তবে নিত্য পণ্যের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে।
 

এব্যাপারে শহরের উকিলপাড়া থেকে আসা একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা বিক্রি করার তো গত এক সপ্তহেই বিক্রি করেছে। তখন যা ব্যবসা করার করেছে, এখন ব্যবসা না করে এক মাস বসে থাকলেও চলবে। গত সপ্তাহেও একপাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ২২০-২৫০ টাকায়, যা এখন ১৭০-২০০ টাকা। কয়দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কমে গেল। তখনও এসব পণ্যের দাম এরকমই ছিল কিন্তু ব্যবসায়ীরা চাহিদা দেখে বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন কিছুদিন ব্যবসা না করলেও চলবে।

এই বিভাগের আরো খবর