নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, বাবাকে গণধোলাই

সিদ্ধিরগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : এগারো বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেছে জন্মদাতা পিতা হানিফ (৪৫)। নিজ কন্যার সাথে এমন নিকৃষ্ট ও জঘন্যতম কর্মকা-ের অপরাধে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পিতাকে।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকায় জাহাঙ্গীরের ভাড়া বাড়িতে পিতা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণের এমন জঘন্য অপরাধটি সংঘটিত হয়।

রাতে খবর পেয়ে ধর্ষক বাবাকে আটক করে পুলিশ এবং ধর্ষণের শিকার শিশু মেয়েটিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধর্ষিত ওই শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম পাটোয়ারি জানায়, সোমবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৪টার যেকোন এক সময় তার স্বামী হানিফ নিজ শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। সে সময় শিশুটির মা কাজে বাড়ির বাহিরে ছিলো।

কাজ থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফিরে এলে শিশুটি তার মাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এসময় শিশুটির মা বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরকে বিষয়টি অবহিত করে। আস্তে আস্তে পুরো ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা একসময় ধর্ষক পিতা হানিফকে গণপিটুনি দেয়। 

সন্ধ্যার পরে বিষয়টি বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক পিতা হানিফকে আটক করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে হানিফকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় নিয়ে আসা হয়। 

এদিকে রাত ১টায় ধর্ষিত ওই শিশুটিকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শিশুটির একটি অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যায়। ধর্ষক পিতা হানিফ ভোলা জেলার পাঙ্গাসায়া গ্রামের মৃত মো. শাহেদের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে।

 এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, পিতা কর্তৃক নিজ শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক পিতাকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে।