শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নিখোঁজ নয়, পরকীয়ার টানে পালিয়েছে স্ত্রী : দুই মেয়েসহ উদ্ধার ৪

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জামাল সরদার নামে এক গামেন্টর্স কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৫ জন নিখোঁজের একটি জিডির সূত্রধরে পুলিশ ৪ জনকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন ওই গামেন্টর্স কর্মকর্তার মেয়ে আশামনি (১১), প্রিয়া মনি (৪) ও তার ভায়রার মেয়ে সুমাইয়া (১৪) ও স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে মো: নাজিম উদিনি (৯)। তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ফরিদা ওরফে নিপা (৩২) কে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 


৪ জনকে উদ্ধার করার পর বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্ট কর্মকর্তার স্ত্রী নিখোঁজ নয় পরিকীয়া প্রেমিক সুমনের হাত ধরে ঘর হতে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় জামাল সরদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব নিমাইকাসারী মাদানীনগর নুরবাগ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে জামাল সরদার এক গামেন্টর্স কর্মকর্তার স্ত্রী ফরিদা ওরফে নিপা, মেয়ে আশামনি, প্রিয়া মনি ও তার ভায়রার মেয়ে সুমাইয়া ও শালার ছেলে আজিমসহ ৫জন নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গামেন্টর্স কর্মকর্তা জামাল সরদার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৩ ফেব্রুয়ারী একটি জিডি করে যার নং-৬৯২। 


ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর শাহীন পারভেজ এর নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই (নিঃ) শামিমসহ একাধিক টিম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জিডির বাদি মোঃ জামাল সরদারের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে নিখোঁজ মোঃ নাজিম উদ্দিনকে ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকার নূরআনী মাদ্রাসা হইতে, অপর নিখোঁজ বড় মেয়ে আশা মনিকে বি-বাড়িয়া জেলার ল্যাবরেটরী আবাসিক স্কুল হইতে, তার ছোট মেয়ে প্রিয়া মনি ও ভায়রার মেয়ে সোমাইয়াকে কেরানীগঞ্জের একটি এলাকা হইতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে।


জিডির বাদি জামাল সরদার এর স্ত্রী ফরিদা ওরফে নীপা বেগম জনৈক সুমনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় উক্ত সুমন ফরিদাকে ফুসলাইয়া প্রলোভন দেখাইয়া ঘর হতে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। নিপা বেগম ও সুমনকে উদ্ধার এবং গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। 


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ পেশাদারিত্বের সহিত কাজ করে উক্ত পরিবারের চার জন সদস্যকে উদ্ধার করেছে। মামলার রহস্যও উদঘাটন করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। 


প্রত্যেক পরিবারের পিতা-মাতাকে সন্তানদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে হবে। পারিবারিকভাবে নৈতিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভিকটিমদেরকে আইন মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর