শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নারায়ণঞ্জ স্থবির, রাস্তায় কঠোর ভূমিকায় পুলিশ

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সমগ্র নারায়ণঞ্জ হয়ে পড়েছে স্থবির। নতুন করে নারায়ণগঞ্জে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত এবং মৃত্যুর সংবাদে নগরীর গুরুত্বপূর্ন স্থানে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী। 


ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকা লকডাউনের আওতাভূক্ত করা হয়েছে। এমন উদ্ভট পরিস্থিতিতে শহরের মোড়ে মোড়ে  অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব ও গণপরিবহণ বন্ধের জন্য দিনভর মাইক হাতে সচেতনতা মূলক প্রচারও চালাচ্ছেন তারা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর চাষাড়া, ২নং রেল গেইটসহ মন্ডলপাড়া এলাকায় পুলিশের ভূমিকা ছিলো খুবই কড়াকড়ি। একাধিক যাত্রী সহ কোন বাহন নগরীতে প্রবেশ করলেই তা থামিয়ে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। 

সুরক্ষামূলক মাস্ক ব্যতিত যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ পরাপর্শ এবং প্রদান করা হচ্ছে মাস্ক। বর্তমান কার্যপরিধী অনুযায়ী পুলিশের আহ্বান বিশেষ কারণ ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মানুষের অসচেতনতার কারনেই ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করবে। 

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সচেতনতার জন্য দিনরাত কাজ করলেও স্থানীয়দের মধ্যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা। এখনো পাড়া মহল্লাগুলোতে অসচেতন ভাবে চলাফেরা চলছে। চায়ের দোকানগুলোতে মানুষ দিব্যি আড্ডা গল্প করছে। 


তিনি আরো জানান, মানুষ যত দ্রুত ভাইরাসটির প্রকোপ সম্পর্কে বুঝতে পাবে তখনই ভাইরাসটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে অন্যথায় খামখেয়ালীপনায় লাশের সারি বাড়তেই থাকবে!


চাষাঢ়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সরকার ভাইরাসটির সংক্রমন রোধে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে। সকল প্রকার গণপরিবহণও এই ছুটির আওতায় আসবে।


কিন্তু এই জেলার মানুষ এই ছুটিকে ঈদের ছুটি মনে করে খেয়াল খুশি মতো চলেফেরা করছে। তারা বিষয়টি বুঝতেই পারছেনা তাদের মধ্য থেকে যদি কেউ এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের এই অবাধ চলাচলের জন্য ভাইরাসটি নারায়ণগঞ্জে মহামারি আকার ধারণ করবে।


অপর একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী নির্দেশনা মানছেনা সরকারী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা যেভাবে সাধারণ ও দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে তাতে সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। 


জনপ্রতিনিধিদের বিতরণকৃত ত্রাণ সংগ্রহ করা মানুষদের মধ্যে যদি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ ত্রাণ গ্রহণ করে থাকে-তাহলে সেটা সকলের জন্যই আশংকাজনক। কেননা ভাইরাসটি খুবই স্পর্শকাতর এবং  ছোঁয়াচে। ত্রাণ সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তিটিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন।   


বিশিষ্টজনদের মতে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। 

মৃত নারী যেখানে যেখানে গিয়েছে সেই সকল স্থানে নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কিন্তু এতো কিছুর পরও নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষা তেমন আশানুরূপ নয়। 


ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষদের মৃত্যু ঠেকাতে হলে অবশ্যই গণহারে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর