মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দুরুত্ব ও সতর্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসনের সাথে এক বৈঠক শেষে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। 

 

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, নাসিক সিও আবুল আমিনসহ জেলার উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে বৈঠক শেষে কাজে নামে সেনাবাহিনী। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করবে তারা।’

 

সোমবার (২৩ মার্চ) এই ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োজিত করার কথা জানান তিনি। 

সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশে দায়িত্ব পালন করবে  সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন শুরু করবে। 

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ, বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো এবং উপকূলীয় এলাকায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। আজ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

 

এছাড়া জানানো হয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস সংক্রান্ত  রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদেও কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে। বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদেও কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিনের বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি ও অবহেলা করছে কিনা তা পর্যালোচনা করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা স্থানীয় সেনা কমান্ডারের কাছে অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আইন অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীর নিকট অনুরোধ জানাবে।

 

নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কাজ করবে। বিমানবাহিনী হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও জরুরি পরিবহন কাজে নিয়োজিত থাকবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর