শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় : ডা.নাজমুল (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার  (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. নাজমুল হোসেন বিপুল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা বর্হিবিভাগে জ্বর-ঠান্ডার যে ধরনের রোগী দেখতে পাচ্ছি, আমার মতে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয়। এই ওমৗসুমে জ্বর-ঠান্ডা একটু বেশি হয়। তবে মানুষের জ্বর ঠান্ডা হলে মানুষ অনেক বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। জ্বর ঠান্ডা হলেই যে করোনা হয়েছে সেটা নয়। তবে আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে, আতঙ্কিত হলে চলবে না। 


মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) যুগের চিন্তার স্বাস্থ্য বিষয়ক টক শো অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চ্যানেল আই’র বিশেষ প্রতিনিধি মোরছালীন বাবলা।   

ডা. নাজমুল হোসেন হাসপাতালে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা নিয়ে বলেন, এই মৌসুমের জ্বর- ঠান্ডার যে পরিমাণ রোগী আমরা পাই সেরকমই আসতাছে। বরং সরকারি ছুটি, যাতায়াত ব্যবস্থা ও আতঙ্কের কারণে মানুষের রোগীর সংখ্যা অনেকটা কম। মানুষের মাঝে আতঙ্ক থাকলেও জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে রোগীরা আসতাছে। তবে মৌসুমী জ¦র সম্পর্কে মানুষের ধারণা রয়েছে। অনেক রোগী সাধারণ ঔষধ খেয়ে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।


রোগীর হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের ডাক্তারের দেখা না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জ¦র ঠান্ডা সকলের জন্যই ভয়ের বিষয়, ডাক্তার তো সমাজের বাহিরে না। এজন্য যেটা করা হয়েছে জ্বর-ঠান্ডার রোগীদের জন্য কিংবা যাদের করোনা সন্দেহ করা হয় আলাদা একটা বিভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানের নির্দিষ্ট ডাক্তার তার নিজস্ব প্রস্তুতি নিয়েই সেবা দেয়।


অনেক সময় রোগীরা তাদের নিজেদের পরিচিত ডাক্তারের কাছে সেবা নিতে চাচ্ছে, জ্বর-ঠান্ডার বিভাগে যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তাকে সেখানে সেবা না দিয়ে জ্বর-ঠান্ডার বিভাগে যেতে বলা হলে সে সাময়িক ভাবে বিব্রতবোধ করতে পারে। কিন্তু রোগীদের বুঝতে হবে এটা তার এবং বাকি রোগীদের মঙ্গলের জন্যই বলা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


নারায়ণগঞ্জের আইসোলেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা আছে। আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে যারা ছিল তারা কিছুদিন সেখানে ছিল কিন্তু এখন আইসলোশন ওয়ার্ডে কেও নেই। এবং নতুন করে কোন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।


বর্হিবিশ্বে কিছু দেশে করোনা মহামারি আকারে ধারণ করার কারণ প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল হোসেন বিপুল বলেন, নোভেল করোনা সকল দেশের জন্য নতুন একটি ছোয়াচে রোগ। রোগটি নিয়ন্ত্রণ কিংবা বন্ধ করা যাবে তার কোন ব্যবস্থাপনা নেই তবে সংক্রামণ কমার সম্ভাবনার জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে করোনার মারাত্মক প্রভাব দেখা দিলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। কারণ বড় পরিসরে আক্রান্ত হলে আমাদের আইসিউ, ভেন্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তবে সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও চেষ্টা পুরোপুরি চেষ্টা করা হবে।


মানুষের মধ্যে সঙ্গরোধ ও জনসমাগম নিয়ে বলেন, সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও নির্দেশনা না মেনে মানুষের জনসমাগম ঠিকই হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় এখানো আড্ডাবাজি চলছে। এর কারণে এই ভাইরাসের সংক্রামণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। আমাদের নিজেদের ও নিজেদের পরিবারের স্বার্থে ঘরে থাকতে হবে। নিজেদের সচেতন হতে হবে।


সাধারন মানুষদের আতঙ্কিত হয়ে সরকারি নির্দেশনা ও সকল নিয়ম মেনে করোনা মোকাবেলা ও নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেন ডা. মো. নাজমুল হোসেন বিপুল।

এই বিভাগের আরো খবর