বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নাগিনা জোহার তিন সন্তানই সংসদ সদস্য, যা ইতিহাসে বিরল : শাহ নিজাম

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম বলেছেন, নাগিনা জোহা ছিলেন এক মহিয়সী নারী। তিনি একজন রত্মগর্ভা। যিনি তার সবকটি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন। তিনিই একমাত্র মা যিনি তার সকল ছেলেকে জাতীয় সংসদ সদস্য বানাতে পেরেছেন যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। আমাদের সবাইকে নাগিনা জোহার মতো হতে হবে।

খেলাধূলা মন মানসিকতা ও শারিরীক বিকাশে অপরিহার্য। যে ব্যক্তি নিজেকে খেলাধূলায় নিয়োজিত রাখে সে কখন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে পারেনা। খেলাধূলা মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দুরে রাখে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে গাবতলী ফ্রেন্ডস ক্লাব আয়োজিত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। 

এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ কামরুল হাসানে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। 

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন হাজী আঃ লতিব, সাইদুজ্জামান শাহীন, মোঃ শামীম,মোঃ হাসেম,মোঃ ইদ্দিস ও  গাবতলী ফ্রেন্ডস ক্লাবের কর্মকর্তা মোঃ নিশু, মোঃ রানা, মোঃ শরীফ, মোঃ রবিন, মোঃ চয়ন, ইমতিয়াজ মাহমুদ রাসেল, মোঃ সাইদুল, মোঃ হৃদয়, মোঃ তানভীর, মোঃ সাঈদ, তৌফিক চৌধুর, আব্দুল কাদির প্রমুখ।

শাহ নিজাম আরো বলেন, আমাদের মহান নেতা শামীম ওসমান মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। শামীম ভাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গাবতলী ফ্রেন্ডস ক্লাব অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাবে। 

আমার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে গাবতলী ফ্রেন্ডস ক্লাব কে।পরে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ, মরহুম সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী নাগিনা জোহা একজন রত্মগর্ভা মা। তিনি ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। 

শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। 

চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে এ কে এম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।

মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী মরহুম নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি গর্ভা মা পুরস্কারে ভূষিত হয়ে ছিলেন। 

তাঁর ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ৪বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মেঝ ছেলে সেলিম ওসমান একই আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়নগঞ্জ-৪ আসনে তৃতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

এই বিভাগের আরো খবর