শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

না’গঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত পিপিই আছে: কোয়ারেন্টাইনে ৩১২

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জে জেলাসদর ও উপজেলা পর্যায়ে সকল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পরিমানে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী মজুদ আছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে দু:শ্চিন্তা না করতে আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক এ আহবান জানান।

 

এই জরুরি সভায় জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি, অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

 

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমান চিত্র তুলে ধরে জানান, জেলার ছয়টি সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সাজেদা হাসপাতাল নামে আইসিউ সুবিধাসম্পন্ন ৩০ শয্যার একটি করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে রোগীদের ছাড়া অন্য কোন রোগের চিকিৎসা করা হবে না। 

 

এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসের চিকিৎসায় ৯০জন চিকিৎসক ও ১৭৩জন নার্স নিয়োজিত রয়েছেন। এর পাশাপাশি বেসরকারি আরো ৭২টি চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনা চিকিৎসাসেবা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন ১০০জন চিকিৎসক ও ১৮০জন নার্স। তাদের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে ২৪০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। 

 

পরবর্তীতে প্রয়োজন মেটাতে আরো ৩৪৮টি মজুদ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার শনাক্তকরণসহ সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই করোনা আক্রন্তদের চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

 

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের দূর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ৭ হাজার ৮৮ দু:স্থ পরিবারকে ২৬.১০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪শ’ ৩৮ পরিবার এই সহায়তা লাভ করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন। 

 

সভায় সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, জেলায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩জন। এর মধ্যে দুইজন সুস্থ হয়েছেন। অপর একজন আইসোলেশনে রয়েছেন। এছাড়া শনিবার নতুন করে ১৫জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিদেশ ফেরত ৩৫২জন। 


এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৩৯জনের। তিনি আরো জানান, গত ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে ৫ হাজার ৯শ’ ৬৮জন প্রবাসী ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে ঠিতকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ২শ’ ৮০জনের।


 

এই বিভাগের আরো খবর