বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

না’গঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তরে সাইনবোর্ডে সিবিএ লেখা নিয়ে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তরে পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ ( রেজিঃ নং বি- ১৮৮৮) এর সাইনবোর্ডে সিবিএ লেখা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ ( রেজিঃ নং বি- ১৮৮৭) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. সিরাজুল হক । 

 

তাদের দাবী নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সিবিএ (রেজিঃ নং বি- ১৮৮৭) নির্বাচিত হয়েছেন। একটি নির্বাচিত কমিটি থাকতে আরেকটি কমিটি (রেজিঃ নং বি- ১৮৮৮) এর সাইনবোর্ডে সিবিএ লেখা সম্পূর্ন অবৈধ। এ নিয়ে গতকাল ড্রেজার পরিদপ্তরে দুটি সংগঠনের দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। 


কেন্দ্রীয় পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ (রেজিঃ বি- ১৮৮৭ ) সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক জানান, ২০১৯ সালের আগষ্টের ২০ তারিখে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক  প্রয়াত সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও  সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এড. মো. হুমায়ূন কবির স্বাক্ষরিত এক অনুলিপিতে বাংলাদেশ পানি উন্ন্য়ণ বোর্ডের মহাপরিচালকের বরাবর উল্লেখ করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারীলীগ সিবিএ (রেজিঃ নং বি- ১৮৮৭ ) একমাত্র নির্বাচিত সংগঠন। 


বাংলাদেশ পানি উন্ন্য়ণ বোর্ডে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শ্রমিক শাখা তথা অন্তর্ভূক্ত একমাত্র সংগঠন ’’ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ (রেজিঃ বি- ১৮৮৭ ) যার নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি মো. সিরাজুল হক ও সাধারন সম্পাদক সুলতান আহম্মদ । এই ইউনিয়ন ছাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত কোন ইউনিয়ন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নাই। 


জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ ও প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী একটা গঠনমূলক, সৃজনধর্মী শ্রমিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। প্রচলিত রীতি- নীতি ও শ্রম আইন অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শেও ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ)এর নেতৃবৃন্দ শ্রমিক- কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যাতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি । 


সিরাজুল হক এ বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমরা একমাত্র সিবিএ নির্বাচিত প্রতিনিধি ।  আমরা এখন পর্যন্ত কর্মজীবি শ্রমিকদের দাবি আদায়ের জন্য কাজ করছি। চীফ ইঞ্জিনিয়ার আমাদের পাশে আরেকটি সংগঠন (রেজিঃ বি-১৮৮৮) কে একটি অফিস দিয়েছেন। 


যদিও এই অফিসটি তার  দেওয়ার এখতিয়ার নাই । প্রতিটি জেলায় সিবিএ'র একটাই অফিস থাকবো । কোন জায়গায় সিবিএ আঞ্চলিক অফিস ছাড়া অন্য কেউ অফিস করতে পারবে না । 


যেহেতু তারা সিবিএ না সেহেতু তারা সিবিএ নাম ব্যবহার করতে পারবে না।  আমরা শ্রম আইনের নিয়ম অনুসারে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়ে  সিবিএ তাই সরকার আমাদের অফিস দিয়েছে চেয়ার  টেবিল দিয়েছে আমরা ব্যবহার করছি।  


আমরা কেউ এখানে চেয়াার টেবিল ক্রয় করে আনিনি সব সরকারি। তারা একটি সাইনবোর্ড লাগাইছে তারা সিবিএ । কিন্তু অন্য কেউ যদি এই সিবিএ‘র সাইনবোর্ড ব্যবহার করে, তাহলে সেটা হবে অবৈধ। একটি সিবিএ সংগঠন থাকা অবস্থায় আরেকটি সংগঠন হতে পারে না । সিবিএর নাম ব্যবহার করা যাবে না। 


আমি অবশ্যই কেন্দ্রীয় সিবিএ  নেতৃবৃন্দের ও আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাবো ।

তিনি বলেন আরোও , নারায়ণগঞ্জ ড্রেজারের চীফ ইঞ্জিনিয়ার একটি সংগঠনের পক্ষে কাজ করছে। আমরা যখন সিবিএ হিসেবে যাই তাখন সে আমাদের বলে যে পরে আসেন পরে আসেন। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার পরেও তিনি আমাদের সাথে বসতে চান না। কিন্তু অন্য একটি সংগঠনকে আমাদের সামনেই তিনি অফিসে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। 


এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ড্রেজার পানি উন্নয়ন শ্রমিক কর্মচারী লীগ (রেজিঃ বি- ১৮৮৮) সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের কোন কমিটিই বৈধ না । এই কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে। আর একটি কমিটি কিভাবে ১২ বছর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সুতরাং তাদের কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ কমিটি । 

ড্রেজার পরিদপ্তরে তাদের যেমন অধিকার রয়েছে , তেমনি আমাদের কমিটিরও রয়েছে । তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তরে সিবিএ'র যে কার্যালয়টি আছে সেটি সিরাজুল হকের ব্যক্তিগত অফিস । ওটা সিবিএর অফিস নয় । আর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সিবিএ সংগঠনকে কার্যালয় দেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আজিজুল হককে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
 

এই বিভাগের আরো খবর