শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

না ফেরার দেশে শরফুদ্দিন সুজন : অথৈ পাথারে স্ত্রী ও দুটি শিশুকন্যা

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০  

গের চিন্তা রিপোর্ট : জীবণের মধ্যাহ্নে পরিচিত জনদের চম্কে দিয়ে চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শরফুদ্দিন সুজন। পেছনে ফেলে গেলেন স্ত্রী হেলেনা আক্তার সম্পা এবং দুই শিশুকন্যা আম্বিয়া খাতুন সাহারা (৯) ও সাবিকুন নাহার রাখিয়াকে (৩)।


তিনি এমন দেশে চলে গেলেন যেখান থেকে পেছনে ফেলে যাওয়া আত্মজাদের আর খবর নেয়া যায় না। গত ৫ জানুয়ারী রাত তিনটায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান সুজন। মুমুর্ষূ অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যূ হয় তার। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বৎসর।

হযরত মিন্নত আলী (র) এর মাজারের প্রথম খাদেম বাবুরাইল নিবাসী হাজী আফতাব উদ্দিনের কনিষ্ঠ ছেলে শরফুদ্দিন সুজন কিশোর বয়স থেকেই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আজ থেকে তিরিশ বছর আগে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ছিল গর্হিত অপরাধ। তখন একটি কিশোর গ্রুপ নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে লিফলেট বিলাতো।


সুজন ছিল সেই কিশোর গ্রুপের নেতা। পরবর্তিতে ছাত্রলীগ রাজনীতির মাধ্যমে সুজন হন রাজপথের লড়াকু সৈনিক। ব্যাক্তিগত জীবণে তিনি প্রয়াত অধ্যাপিকা নাজমা রহমান, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শুক্কুর মাহমুদ, প্রয়াত সাঈদুল হাসান বাপ্পি, হালিম সিকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দের একান্ত সান্নিধ্য পেয়েছেন।


সতীর্থরা তার সম্পর্কে জানিয়েছে, সূজনের কোন পিছুটান ছিল না এবং জীবণ যাপনের ক্ষেত্রেও তিনি বেপরোয়া ছিলেন। ব্যাক্তিগত জীবণে রাজনীতির কোন ফায়দা তুলেননি। রাজনীতি, সামাজিকতা ও সংসার এ তিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তার জীবণ।


এ ব্যাপারে আলাপকালে শরফুদ্দিন সুজনের সদ্য বিধবা স্ত্রী হেলেনা আক্তার সম্পা জানান, দুটি শিশুকন্যা সহ উনি আমাদের অকুল পাথারে রেখে গেছেন। কিভাবে এ দুর্গম পথ পাড়ি দিব, কিভাবে এ দুটি শিশুকে মানুষ করবো ভেবে ভেবে থই পাই না। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হন এবং এ চরম সংগ্রামে যেন ভেঙ্গে না পড়ি।

 

এই বিভাগের আরো খবর