নষ্ট মোবাইল ফেরত দিলে পাবেন নগদ টাকা
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : নষ্ট মোবাইল ফোন কী করবেন, কোথায় ফেলবেন- এনিয়ে অনেকে বেশ চিন্তিত থাকেন। এটি এমন এক ধরণের জিনিস যা নষ্ট হয়ে গেলেও সহজে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও খারাপ লাগে। তাহলে কী করা যেতে পারে?
মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা বলছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন তাদের কাছে জমা দিলে টাকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানিয়েছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিলে যাতে ফোনের মালিক কিছু টাকা পায সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি মোবাইল ফোন সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায় না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়। তাই সেগুলো ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খুব শীগ্রই এ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, দেশের ১০০টি শপিং মলে আমাদের বুথ থাকবে, যেখানে নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে টাকা পাওয়া যাবে। প্রথম দফায় ঢাকার ৫টি থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো বাংলাদেশে এটি চালু হবে।
রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, যারা নষ্ট মোবাইল ফোন দিতে আসবে, তাদের যদি কিছু টাকা না দেয়া হয়, তাহলে বিষয়টিতে মানুষের আগ্রহ থাকবে না। তবে কত টাকা দেয়া হবে সেটি নির্ধারিত হবে মোবাইল ফোনের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে।
মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে যে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
নষ্ট মোবাইল দিয়ে কী হবে?
বাংলাদেশে প্রতি বছর বেশ দ্রুততার সাথে ইলেকট্রনক বর্জ্য বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের এক হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।
মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলছেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকর করা গেলে, নষ্ট ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের প্রবণতা গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন রি-সাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে। এসব ফোন সেটের বিভিন্ন উপাদান থেকে নানা রকমের জিনিস উৎপাদনের কাজে লাগতে পারে।
মাহবুব আরও বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজটি করছি। তবে এজন্য সরকার এবং রি-সাইক্লিং শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে মানুষ যদি কিছু টাকা না পায়, তাহলে তারা উৎসাহিত হবে না।’
- মোবাইলে প্রেম অতঃপর নানির বয়সী কন্যার সাথে বিয়ে !
- অনলাইনে সংশোধন করে নিন আপনার স্মার্ট কার্ড
- ধূমকেতুর আঘাতে ধ্বংস হবে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী !
- ব্লু হোয়েল এর পর আরেক মরণগেম গ্র্যানি!
- অপো এফ নাইন দেশে আসছে
- টাক মাথায় চুল গজানোর যন্ত্র
- বোকা বানাচ্ছে যে ১৫টি অ্যাপ
- পুটু’র ফেসবুক ফলোয়ার ২০ হাজার !
- ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা
- গুগল কর্মীদের অফিস আসবাব কেনার জন্য ১০০০ ডলার দেবে
- জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে গুগলের ডুডল
- ‘পিইউবিজি’ গেম এ আসক্ত হয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বন্ধ ‘পাঠাও পে’ সেবা
- এপ্রিলে বন্ধ হচ্ছে ২৬ লাখ সিম
- বন্ধ হতে পারে টিকটক !