শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ননদের স্বামীর সাথে পরকীয়া, ঘর ছাড়ল দুই সন্তানের জননী 

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরে ননদের স্বামীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্বামীর ঘর ছাড়লো দুই সন্তানের জননী পান্না বেগমের (২৭)। এ ঘটনায় স্বামী মোহসীন বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে, জিডি নং ৩৫ তাং ০৪-০২-২০২০ইং।


জানাগেছে, ধামগড় ইউপি মালামত এলাকার বিএনপি নেতা ইসলাম মিয়ার মেয়ে পান্না বেগমের (২৭) সাথে আমৈর কান্দাপাড়া আতাব উদ্দিনের ছেলে মোহাসীনের (৩৪) সাথে দশ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মোহাসীনের ছোট বোনের স্বামী মুছাপুর ইউপি মালিবাগ এলাকার, বারেক মিয়ার ছেলে রাসেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে পান্না। 


এদিকে স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে পান্না বেগম, ননদের স্বামী রাসেলের সাথে লোক চক্ষুর অন্তরালে দিনের পর দিন পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে স্বামীর নিজ বাড়িতে আশেপাশের লোকজন পরকীয়া যুগলদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে।

 

এ ঘটনায় পান্না বেগমের পিতা মাতাকে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেই সাথে পান্না বেগমের পিতা মাতাকে মেয়ের সুবিচার করতে অনুরোধ করে। পান্নার পিতা মাতা সুবিচার করার পর ও থেমে থাকেনি তাদের পরকীয়া সম্পর্ক।


এদিকে স্বামী মোহাসিন খবর পেয়ে দ্রুত বিদেশ থেকে দেশে চলে আসে। এরই মাঝে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে পান্না বেগম মদনপুর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এদিকে একই সময় থেকে ননদের স্বামী রাসেলও বাড়ি ফিরেনি।


বহু খোঁজাখুজির পর তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে পান্না বেগমের স্বামী মোহাসিন বন্দর থানায় বোনের স্বামি রাসেল, মামুন ও লিটনকে বিবাদী করে, একটি সাধারন ডায়েরী করে।


এদিকে পান্না বেগমের পিতা ইসলাম মিয়া একই তারিখে মেয়ের নিখোঁজ বলে রাসেলকে অভিযোগ করে একটি লিখিত অভিযোগ করে। 
তার অভিযোগ সূত্রমতে রাসেল পান্নাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় একই তারিখ আনুমানিক বেলা দেড়টার সময় রাসেল তার সহযোগীদের নিয়ে পান্নাকে জোড়পূর্বক রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। 


এ বিষয়ে স্বামি -শশুড়- ননদ তিন পক্ষই কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ধামগড় ইউপি মাছুম চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মধ্যস্ত করতে বসে। তাতে মাসুম চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে দুই দিনের সময় দেন পরকীয়া যুগলদের খুজে বাহির করার জন্য। পরকীয়ায় লিপ্ত রাসেলের দশ বছরের এক ছেলে ও সাত বছরের আরেক ছেলে রয়েছে।


এদিকে পান্না বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের সন্ধানে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এদিকে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম (ওসি) এর নির্দেশে রাসেল ও পান্না বেগমকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর