বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নগরীর বিপনী বিতানগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২০  

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব। গাদাগাধি করে বেচা কেনা করছেন বিক্রেতারা।

 

আর এ কারনেই এই ভাইরমটির বিস্তার দ্রুতই ছড়াবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মঙ্গলবার (১২ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে ।

 

শিশুদেরকে মাক্স ছাড়াই নিয়ে আসা হচ্ছে মার্কেট গুলোতে। প্রচন্ড ভিরের মাঝে ও হটস্পট নারায়ণগঞ্জে চলছে পবিত্র ঈদুল আযহার কেনা কাটা। লকডাউন শিথিল হওয়ার কারনে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন নারায়ণগঞ্জে বেড়েই চলছে।

 

সামাজিক ও শারীরিক দূরুত্ব না মেনে এসব মাকেট বিপনী বিতার্ন গুলোর প্রচন্ড ভিরের কারনে করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা আরো বেশী বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

এ সময় মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোর দোকানিরা জানান, কাষ্টমারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে আসা এবং ছোট শশিুদেরকে মার্কেটে না আনার কথা বলা হলেও তারা শুনছেন না, বেঁচা-কেনা মোটামুটি ভালই হচ্ছে। 


মার্কেটগুলোর দোবানিরা জানান, করোনা ভাইসের কারনে সরাদেশে চলছে লকডাউন। টানা প্রায় দুই মাস ধরে মাদের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। আমরার পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সরকার নিয়ম মেনে মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণা করার আমরা কয়েকটা দিনের জন্য হলেও কিছুটা বেচা-কেনা করতে পারবো।

 

কাষ্টমারদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে কেনা-কাটা করতে বার বলছি। আমরা মার্কেটের সামনে বেসিন বসিয়ে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও সুরুক্ষা সামগ্রি ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।


ক্রেতারা জানান, করোনা ভাইরাসে এই লকডাউনের মধ্যে খুবই ঝুকি নিয়ে শপিংয়ে এসেছি। বাচ্চারা বাসায় বায়না ধরে কান্নাকাটি করে ঈদে নতুন জামাকাপড় কিনে দেওয়ার জন্য। শুধু বাচ্চাদের জন্যই আসা। তাছাড়া আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটের সামনে রাখা সুরুক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর মার্কেটে প্রবেশ করছি।

এই বিভাগের আরো খবর