শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নগরীতে পার্কিং ব্যবস্থা ছাড়াই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক বঙ্গবন্ধু ও নবাব সলিমুল্লাহ্ সড়ক। সড়ক দুটিতে অবস্থিত বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এসকল প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের যানবাহন সড়কে যত্রতত্র পার্কিং থাকে। ফলে সড়ক দুটিতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে।


বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গায়নস্টিক সেন্টারগুলো সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পার্কিংয়ের কোন জায়গা না রেখে সেখানে হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে।


মেডিস্টার জেনারেল হাসপাতাল, মেডিহোপ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডি লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল, সিটি লাইফ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোন পার্কিং ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের সামনে সড়কের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।


একদিকে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্ক হয়ে থাকে অপরদিকে সারাদিন বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের সামনে পার্ক করে রাখা হয়। ‘এ যেন একে রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’। অবৈধ পার্কিং এর কারণে সড়কের এক অংশ দখল রাজ্যে। ফলে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। দুটি রাস্তায় যানজটের প্রভাবে চাষাড়া চত্বরে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়।


নগরের মেডিস্টার জেনারেল হাসপাতালের নিচ তলায় পার্কিং-এর স্থানে বিভিন্ন কক্ষ তৈরি করে রাখা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালের নিচে তথ্য সংগ্রহের কেন্দ্র। কিন্তু যানবাহন রাখার কোন স্থান নেই। হাসপাতালের দ্রব্যাদির বহনের গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং-এর স্থান না থাকায় রাস্তাতেই পার্ক করে রাখা হয়েছে।


একই চিত্র দেখা যায় নগরের সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে প্রচুর রোগীদের ভিড়। রোগীদের গাড়ি, হাসপাতালের নিজস্ব যানবাহন, চিকিৎসকদের ব্যাক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স সকল যানবাহন রাস্তায় রেখে দেওয়া হয়।


লাইফ জেনারেল হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, পার্কিং না থাকলেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। লোকজন রাস্তায় গাড়ি রাখছে।


বঙ্গবন্ধু সড়কে গ্র্যান্ড হল রেস্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারের নিচে যানজটে থাকাকালীন আনিসুর রহমান নামে একজন বলেন, শহরের  বেশিরভাগ বিল্ডিং এ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। আর হাসপাতালের সামনে অনেক বেশি গাড়ি রাখে। ২টা রিক্সার একসাথে চলাচলের জায়গা থাকে না। এমন অবস্থা হয়ে যায়। পুরো রাস্তায় গাড়ি রাইখা দেয়।

এই বিভাগের আরো খবর