শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা অবহিত করন কর্মশালা অনু্িষ্ঠত

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৯  

ষ্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা অবহিত করন কর্মশালা অনু্িষ্ঠত হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির তত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের মিলনায়তনে এ অবহিত করন কর্মশালার আয়োজন করা হয়।


নারায়নগঞ্জ  সিভিল সার্জন পরিচালক ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ শাহনেওয়াজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ। 


সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক নাজমুল সালেহীন, ডিপিএম ডাঃ ফাতেমা আক্তার, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি সেবার সহঃ পরিচালক ডাঃ সুপ্তা চৌধুরী, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।


নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জনের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল হক তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যক্রম অনুসারে প্রথম ধাপে ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৯ সফল ভাবে আয়োজন করার পর আজ আমরা দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা অবহিতকরন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ২২ টি মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ে আমাদের পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনার কার্যক্রম চলমান, খাদ্যের কথা ভাবলেই পুষ্টির কথা ভাবুন।


ডাঃ ফাতেমা আক্তার ( ডিপিএম) তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সকল শিশুকে রোগমুক্ত দেখতে চাই, জন্মগ্রহন করার পর একটা শিশুকে যদি ১ ঘন্টার মধ্যে মায়ের বুকের শালদুধ খাওয়ার জন্য তার নিকট দিতে পারি তাহলে একটি শিশুর ৯০ ভাগ পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব। সর্বস্তরে এই ম্যাসেজটা পৌঁছে দিতে হবে। গর্ভপতি মায়ের প্রতি যথার্থভাবে খেয়াল রাখতে হবে।


 আমরা খাদ্যের কথা যখন ভাবব ঠিক তখনই পুষ্টির কথা মাথায় রেখে গর্ভপতি মায়ের খাদ্যের তালিকায় পুষ্টিজাতীয় খাবার সূচিতে রাখতে হবে। 


এ সময় তিনি দুধ, ডিম, চিনি প্রসঙ্গে ক্যালরির কথা বলতে গিয়ে বলেন, পরিমিত সকল খাবারই খাওয়া যাবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আসক্তির কারন না হয়। পাশাপাশি আমাদেরকে জানতে হবে অন্যদেরকে জানাতে হবে।


বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি সেবার সহঃ পরিচালক ডাঃ সুপ্তা চৌধুরী বলেন, পুষ্টি বিষয়ে আমাদের গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। ২২ টি মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবং মিডিয়ার সাহচার্যে এর ব্যাপ্তি বাড়াতে পারলেই সর্বস্তরে এর ব্যাবহারবিধি বাড়বে।


প্রধান অতিথি ডাঃ মোঃ শাহনেওয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, সিভিল সার্জন এবং তার অধিদপ্তর সাস্থ ও শিক্ষার পুষ্টি সেবার অধিন্যাস্ত আরও ২২ টি মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলছে।


সমাপনী বক্তব্যে অতিঃ জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ফরমালিন কিংবা পিজারভেটিভ এর ব্যবহারে কোনরকম আতঙ্কিত না হয়ে এর ব্যবহার এবং প্রয়োগবিধি যাতে কম হয় ও পুষ্টি সমন্ধে আমাদের সচেতণতা বাড়াতে হবে। 


সবশেষে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে আগত সকল কর্মকর্তাবৃন্দদ্বয়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার সমাপ্তি করেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর