শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দৈনিক কতটুকু পানি পান করবেন

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : পানির অপর নাম জীবন। মানব শরীরের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পানি পানের বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্য, অধিক কর্মদক্ষতা, ভালো ত্বক, ওজন কমানো এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে খাবারের পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।


একটা সময় ছিল যখন মানুষের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ খাবার পানি ছিলনা। সময়ের ব্যবধানে এখন মানুষের বিশুদ্ধ পানি পানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই চাহিদা থেকেই হয়তো একদিন বিশুদ্ধ পানির জন্য পৃথিবীবাসীর যুদ্ধে লিপ্ত হওয়াটা কোনো অসম্ভব ব্যাপার না।

পানি পান করাটা যতটা জরুরি ঠিক ততটা জরুরি পরিমিত পরিমাণ পানি পান করা। পানি উপকারী বলে মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করাটাও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত, যা কিনা গড়ে ২-৩ লিটারের মতো হতে পারে। 


পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পানের সুবিধার জন্য সঙ্গে পানির বোতল বহনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া অফিসেও যাতে সময় মতো প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পানের ব্যবস্থা করার জন্য মিটিং চলাকালেও টেবিলে বাড়তি পানির জগ এবং গ্লাস রাখা যেতে পারে।

পরিমিত পানি পান করা নিয়ে অধুনা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলেও সঠিক পরিমাণ পানি পানের হিসেবটা কিন্তু বহু বছর আগেই করে আসছেন ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা। ১৯৪৫ সালে মার্কিন খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ড অব ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল পানি পানের সঠিক হিসেব দিতে গিয়ে বলেন, একজন নারীর প্রতি এক হাজার ক্যালরির জন্য শরীরে এক লিটার পানি প্রবেশ করা উচিত। 


একইভাবে দুই হাজার ক্যালরি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করলে দুই লিটার পানি এবং ২ হাজার ৫০০ ক্যালরি খাবারের জন্য আড়াই লিটার পানি প্রবেশ করা দরকার। এক্ষেত্রে এর পুরোটা যে সরাসরি পানি পানের মাধ্যমে হতে হবে তেমন নয়, যেসব ফলমূল এবং সবজিতে প্রচুর পানি আছে সেগুলোও পানির বিকল্প উত্স হতে পারে।


অন্যদিকে ১৯৭৪ সালে পুষ্টিবিদ মার্গারেট ম্যাকউইলিয়ামস এবং ফ্রেডরিক স্টেটের লেখা বই ‘নিউট্রেশন ফর গুড হেলথ’ বইয়ে তারা জানান একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এই দু'জন লেখকও দাবি করেছেন এই ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানির মধ্যে সবজি, কোমল পানীয়ও অন্তর্ভুক্ত। 


গবেষকরা জানিয়েছেন, পান করা এই পানি শরীর থেকে ঘাম, মূত্র এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে আসে। আমাদের শরীরের পানির পরিমাণ ১ থেকে ২ শতাংশ কমে গেলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

এই বিভাগের আরো খবর