বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর: মন্ত্রী গাজী

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, "দেশের জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ শিক্ষক- শিক্ষার্থী- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশের জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই দেশের জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার দিকে সরকারকে বেশি নজর দিতে হবে।"


শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় সহিতুন্নেছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, "বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।"

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনে কর্ণধার হবে। আর সেটা হতে হবে আরো বেশি শিক্ষিত হয়ে, জ্ঞান অর্জন করে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ছাড়া, শিক্ষিত জাতি ছাড়া এদেশ কোনো দিন উন্নত হবে না। তাই অন্য কোনো দিকে মন না দিয়ে সবার আগে লেখাপড়া এবং এরপর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার দিকে শিক্ষার্থীদের মন দেয়ার আহ্বানও জানান মন্ত্রী। 

 

তিনি বলেন, "শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি যদি শিক্ষার উন্নয়ন না ঘটে, সে অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। তবে আশার কথা, আমাদের দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নতি সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলেছে। গত এক দশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকেও মজবুত করে তুলেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণেও অর্জিত হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য। 

 

মন্ত্রী আরও বলেন, "যে জাতি নারীদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে পারে, সে জাতির উন্নতি অবধারিত। বর্তমান সরকার শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে শিক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। একসময় নারী শিক্ষা ছিল শুধু উচ্চবিত্ত ও শহরের কিছু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। প্রায় শতভাগ মেয়েই এখন স্কুলে যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়ে যে পরিবেশ থাকা দরকার, সরকার তা নিশ্চিত করেছে।"

 

সহিতুন্নেছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঠাকুর দাস করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুড়াপাড়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মনির হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল, উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূঁইয়া মাছুম, কাঞ্চন-মুড়াপাড়া আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাবের বাবুল, মুড়াপাড়া ইউপি সদস্য রেহেনা আক্তার প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর