বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুইটি বাল্যবিবাহ রোধ করলেন সদর ইউএনও নাহিদা বারিক

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০  

শহরের পাইকপাড়ার নামাপাড়া এলাকায় একই সাথে দুইটি বাল্যবিবাহ রোধ করলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। একই সাথে চারটি পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করে তাদেরকে সর্তক করে দেন তিনি।


শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া নামাপাড়া এলাকায় এই তিন বাল্যবিবাহের প্রস্তুতির সময় ইউএনও নাহিদা বারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। এসময় তার সাথে ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুসহ সদর থানা পুলিশ। 


কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু জানান, জুম্মার নামাজের সময় নামাপাড়া এলাকায় একই সাথে তিনটি বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সদর ইউএনও নাহিদা বারিককে বিষয়টি অবগত করেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সদর থানা পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন তিনি। এসময় সবাই মিলে দুটি পরিবারের অভিবাবকদের জয়গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে এনে দুইটি বাল্যবিবাহ রোধ করেন। তবে বিষয়টি জানতে পেরে আরেক পরিবারের লোকজন বাল্যবিবাহ স্থগিত করে তাদের নাবালক সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যান।


সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, বাল্য বিবাহ রোধ করা মেয়ে দুটির বয়স মাত্র ১২ থেকে ১৩ বছর এবং ছেলে দুটিও ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সী। তবে এই নাবালক চারজনের জন্মনিবন্ধনের কাগজে বয়স জালিয়াতি করার অপরাধে মোফাজ্জল হোসেন মোফা নামের এক ব্যক্তিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।


নাহিদা বারিক আরও জানান, ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কারণে সবার সম্মতিতে তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়। এসময় চার পরিবারের অভিভাবকরা তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং ছেলে মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন। পরে অভিভাবকরা মুচলেকা দিলে ছেলে মেয়েদেরকে তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে যার যার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। 

এই বিভাগের আরো খবর