শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় আলাউদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : শেষ পর্যন্ত ফতুল্লার কুতুবপুর ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ছাগল চুরির অভিযোগে নাঈম ও রাতুলকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে নাইমের মা নাজমা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে নির্যাতনে ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।   


গত ৩১ ডিসেম্বর ছাগল চুরির অভিযোগে কুতুবপুরপুরের নয়ামাটি এলাকার ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদারের ব্যাক্তিগত অফিসে রাতুল ও নাইম নামের দুইজন যুবককে বাসা থেকে ধরে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে রাতুল ছাগল চুরির কথা স্বীকার করেন। এসময় আলাউদ্দিন হালাদারের নিদের্শে রাতুল ও নাইমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। লাঠির প্রচন্ড আঘাতে দুই যুবক গুরুতর আহত হয়। আহত দুইজনকে পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। 


নাইমের মামা শিপন জানায়, তার ভগিনাকে প্রবাসে পাঠানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর যখন নাইমকে বাসা ধরে আলাউদ্দিন হাওলাদারের লোকজন নিয়ে আসে তখন তিনি এলাকায় ছিলেন না। তাদের কাউকে বিষয়টি না জানিয়ে তার ভাগিনাকে মারপিট করে ছাগল চুরির অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে। যদি নাইম অন্যায় করেই থাকে তাহলে এমন অত্যাচার মানুষকে মানুষ করতে পারেনা। 


আলাউদ্দিন হাওলাদার মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন, নাইম ও রাতুল ছাগল চুরি করেছিল। সিসি টিভির ফুটেজে তা ধরা পড়েছিলো। রাতুল নামের একজনকে ধরে আনার পর সে নাইমের নাম বলে। এরপরই নাইমকে আমার অফিসে আনা হয়। সামান্য মারপিট করার পর তারা দুজনেই ছাগল চুরির কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতেই চুরি যাওয়া ছাগল উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। 


অপরদিকে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে দুজনকে তুলে দেয়ার পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এসআই সালেকুজ্জামান আদালতে পাঠান। আদালতে পাঠানোর কাগজে তিনি উল্লেখ করেন স্থানীয় লোকজন নাইম ও রাতুলকে মারপিট করে আহত করে। তাদের দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে আহত নাইমের মা বাদী হয়ে আলা উদ্দিন হাওলাদারকে প্রধান করে মামলাটি দায়ের করেন। 


মামলা গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো.আসলাম  হোসেন বলেন, পাঁচজনকে আসামি করে ভুক্তভোগি নাঈমের মা নাজমা বেগম মামলা দায়ের করেছেন। আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ মামলায় এজাহার নামীয় পাঁচজন ও অজ্ঞাত আরও দুই তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ভিডিওটা দেখেছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর