বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দল নিবন্ধন পুনঃনিরীক্ষার দাবীতে নগরীতে গণসংহতির মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরীক্ষা ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে গণসংহতি আন্দোলণ। রোববার (২২ জুলাই) বিকেল চারটায় দলটির জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভিন্ন মতাদর্শের কোন রাজনৈতিক দল যেন দেশে রাজনৈতিক ভাবে বিকশিত না হতে পারে সে জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করেছে।

 

এর ফলেই গণসংহতি আন্দোলনের মতো সক্রীয় একটি রাজনৈতিক দলকে অন্যায়ভাবে নিববন্ধন না দেয়ার পায়তারা করছে সরকার। মানববন্ধন থেকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরিক্ষণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনী ব্যস্থার আমূল সংস্কার দাবী করা হয়।

 

জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে দলের জেলা নির্বার্হী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল বাপ্পি, সিদ্ধিরগঞ্জ গণসংহতির আহ্বায়ক জাহিদুল আলম আল জাহিদ, বন্দর গণসংহতি নেতা এমদাদুল হক, নারী সংহতির জেলা আহ্বায়ক নাজমা বেগম, সদস্য সচিব পপি রানী সরকার, প্রতিবেশ আন্দোলন নেতা রায়হান জামান, ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি শুভ দেব, সহ সভাপতি শুভ্র কুমার, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামান, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা সহ দলের বিভিন্ন থানা শাখা ও সহযোগী সংগঠের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল সুজন বলেন,বাংলাদেশ এখন জাহান্œামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্যে দেশের মানুষ নিজেরাও দায়ী। তারা অত্যাচারি সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করে নাই । কিন্তুু আমরা করেছি।

 

দেশের মানুষের সাথে যতবার সরকার প্রতারনা করেছে বা করতে চেয়েছে ঠিক সেই সময় আমরা প্রতিবাদ করেছি। আর তাই রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্য দাবিদার গণসংহতি আন্দোলন। নিজেদের আরো অনেক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন তরিকুল সুজন। তিনি ছত্রলীগের সমালোচনা করে বলেন যে ছাত্রলীগের কার্যক্রম আজ দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

 

অঞ্জন দাস তার বক্তব্যে বলেন, গণসংহতি আন্দোলন ২০০২ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ ১৬ বছরে আমরা জনগণের প্রতিটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকা পালন করেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় নিরলসভাবে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।

 

নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে সকল শর্ত পূরণ করে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন করে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে ঘাটতি বা সম্পূরক শর্তাদি পালনের শর্ত দেয় তাও গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে পূরণ করা হয়।

দলিলপত্রের চাহিদা পূরণের পর কোনো ঘাটতি থাকলে তা মাঠ জরিপের মাধ্যমে উঠে আসার কথা। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম নির্বাচন কমিশন মাঠ জরিপের আগেই ৭৫টি আবেদনকারী দলের ভেতর ৭৩টি শর্ত পূরণ করেনি বলে তাদের আবেদন জরিপের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়নি এমন ঘোষণা দিয়েছে।

 

যা আমাদের জানতে হয়েছে গণমাধ্যম সূত্রে। আবেদনকারী দলসমূহকে এর কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তেমনি ভাবে যে দলগুলোকে তারা জরিপের জন্য বিবেচনা করেছেন তাদের কিসের ভিত্তিতে যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে সেটিও অজানা। একটা অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এমন অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরীক্ষার দাবি জানাই।

এই বিভাগের আরো খবর