শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

তিনদিন ব্যাপী “মোরশেদুল ইসলাম রোট্রোস্পেক্টিভ” চলচ্চিত্র প্রদর্শন

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামের নির্মিত নির্বাচিত চলচ্চিত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তিনদিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ফিল্ম সোসাইটি শুক্রবার বিকেলে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে “মোরশেদুল ইসলাম রোট্রোস্পেক্টিভ” নামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম স্বপরিবারে বিশেষ অতিথি হিসেবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

নারায়ণগঞ্জ ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি হুমায়ুন কবীর খান শিল্পীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ উদ্দিন শাকের। 

 

নারায়ণগঞ্জ ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিরা ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ ও বাংলাদেশ ফোডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সভাপিত বেলায়েত হোসেন মামুন।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তারা মোরশেদুল ইসলামের নির্মিত জাতাীয় ও আন্তর্জাতিক পুৃরস্কারপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেন। এ ধরনের আরো চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য মোরশেদুল ইসলামকে অনুরোধও করেন তারা। 

 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া তাকলেও বিকল্পধারার এসব চলচ্চিত্র উপভোগ করতে বিভিন্ন শেণীর দর্শক সমাগম ঘটে মিলনায়তনে। তিনদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত জনপ্রিয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র দীপু নাম্বার টু, আঁখি ও তার বন্ধুরা, আমার বন্ধু রাশেদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আগামী, অনিল বাগচীর একদিন, বিকল্পধারার চলচ্চিত্র চাকা, দুখাই, শরৎ ৭১, খেলাঘর, দূরত্ব ও প্রিয়তমেষু এই প্রদর্শন করা হবে। আগামী ২৬ অক্টোবর শেষ হবে এই প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় তিনটি শো চলবে বিনা টিকিটে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

 

দেশবরেণ্য এই চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এ পর্যন্ত ১৬টি চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন। এর মধ্যে পাঁচটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র এবং বাকীগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও বিকল্পধারার চলচ্চিত্র। আশি’র দশকের শুরুতেই মোরশেদুল ইসলাম প্রথম “আগামী”নির্মান করে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

 

এরপর পর্যায়ক্রমে চাকা, দুখাই, দীপু নাম্বার টু সহ শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিগুলো নির্মান করে দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেন এবং বেশ কয়েকবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশে বিকল্পধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের সূচনাও করেন তিনি। এ কারনে তাঁকে বাংলাদেশের বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ বলা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর