তরুণ ডেভেলপাররা দেশেই তৈরি করছেন মোবাইল সিম
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : টেলিযোগাযোগ খাতে যোগাযোগের অন্যতম অনুষঙ্গ মোবাইল ফোনের সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল-এসআইএম) আগে আমদানি করতে হতো। এখন আর তা আমদানি করতে হয় না। দেশেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি সিম মোবাইলফোন অপারেটররা ব্যবহার করে। ফলে মোবাইল সিমের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর।
সিম উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এ দেশের তরুণরাই যুক্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশীয় মোবাইল সিম নির্মাতারা উৎপাদনের শুরুর দিকে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসেন এবং দেশীয় তরুণ ডেভেলপারদের সরাসরি যুক্ত রাখা হয় সিম উৎপাদন প্রক্রিয়ায়। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদের উপযুক্ত করে তোলেন। পরে দেশীয় তরুণ ডেভেলপাররা সিম তৈরি করে থাকেন। পুরো বিষয়টি কারিগরি হওয়ায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে দু’বছরের বেশি সময় ধরে চলে প্রশিক্ষণ পর্ব। এখন এ দেশের তরুণ ডেভেলপাররাই এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তি বাইরের হলেও এসব সিম এখন দেশের তরুণরাই তৈরি করছে। আর একাধিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতাও। ফলে আগে বেশি দামে বিক্রি হলেও এখন বেশ কম দামে সিম বিক্রি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মোবাইলের সিম কার্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের চিপ রয়েছে, যাতে থাকে আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচয় এবং একটি সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম— যার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক শনাক্ত করে, আর স্বল্প মেমরি (অল্প জায়গায়)— যেটাতে ফোন নম্বরসহ আরও কিছু আমরা সেভ রাখি বা সংরক্ষণ করি। সিমের ভেতরে অসংখ্য সেমিকন্ডাকটার, রেজিস্টার, ট্রানজিস্টর ইত্যাদি থাকে। সিম সাধারণত সিলিকন দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।
জানা যায়, দেশে বাম্বল বি, সিল্কওয়ে, আইসিটি, ইস্ট কম পিস নামের প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল সিম তৈরি করছে। আর মোবাইলফোন অপারেটরগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সিম ব্যবহার করছে।
নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি সিম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি না হলেও যারা আছে, তারা ভালো কাজ করছে। তবে কোনও প্রতিষ্ঠানই (সিম নির্মাতারা) চায় না তাদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগী বাড়ুক। এই কারণে তারা সাধারণত কোনও ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে চায় না। তিনি জানান, বছর কয়েক আগে যখন বাংলাদেশে মোবাইল সিম তৈরি শুরু হয়, তখন একটি সিম বিক্রি হতো ৬৮ টাকায়। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাজারে বর্তমানে কম দামে যে মোবাইল সিম পাওয়া যায় (অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়) তা সম্ভব হয়েছে দেশে উৎপাদিত সিম ব্যবহারের কারণে। মোবাইল সিম আমদানিতে শুল্ক না লাগায় মোবাইলফোন অপারেটররা কম দামে সিম কিনে গ্রাহকের হাতে দিতে পারছে। প্রকারান্তরে লাভ হয়েছে গ্রাহকেরই। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছ থেকেও প্রায় একই কথা জানা গেলো।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন এখন দেশ থেকেই মোবাইল সিম কেনে। স্থানীয়ভাবে তৈরি সিমের মান ভালো।’ তিনি এখনও পর্যন্ত দেশীয় সিমে কোনও সমস্যা হয়েছে এমনটা শোনেনি বলে জানালেন।
মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘বাংলালিংকও বাংলাদেশে উৎপাদিত সিম কিনে থাকে। দেশ থেকে সিম কিনলে আমদানি শুল্ক লাগে না বলে সিমের পেছনে খরচ কম হয়।’ এই উদ্যোগের ফলেই গ্রাহককে কম দামে সিম দেওয়া সম্ভব হয় বলে তিনি মনে করেন। ‘দেশেই ভালো সিম পাওয়া গেলে আর আমদানি করা কেন’, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
- মোবাইলে প্রেম অতঃপর নানির বয়সী কন্যার সাথে বিয়ে !
- অনলাইনে সংশোধন করে নিন আপনার স্মার্ট কার্ড
- ধূমকেতুর আঘাতে ধ্বংস হবে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী !
- ব্লু হোয়েল এর পর আরেক মরণগেম গ্র্যানি!
- অপো এফ নাইন দেশে আসছে
- টাক মাথায় চুল গজানোর যন্ত্র
- বোকা বানাচ্ছে যে ১৫টি অ্যাপ
- পুটু’র ফেসবুক ফলোয়ার ২০ হাজার !
- ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা
- গুগল কর্মীদের অফিস আসবাব কেনার জন্য ১০০০ ডলার দেবে
- জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে গুগলের ডুডল
- ‘পিইউবিজি’ গেম এ আসক্ত হয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বন্ধ ‘পাঠাও পে’ সেবা
- এপ্রিলে বন্ধ হচ্ছে ২৬ লাখ সিম
- বন্ধ হতে পারে টিকটক !