বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির মালিকদের ভূমিকা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্য ১৩ নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে আমরা আমাদের মশক নিধন কর্মীদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা বহুতল ভবনের ছাদ পরীক্ষা করে দেখছি। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওভার হেড পানির ট্যাংকি ভরে পানি উপচে ছাদে না পরা পর্যন্ত মটর বন্ধ করা হয় না। ফলে ছাদের জমা পানিতে ডেঙ্গু ও এডিস মশা জন্মায়। আমরা ছাদে ঔষধ স্প্রে করছি ও বাড়ির মালিকদের ছাদ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

গত কয়েকদিনে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক বাড়িতেই মাটির হাড়ি, ভাঙ্গা তৈজসপত্র বিনা কারণে সংরক্ষণ করছেন, সেখানেও বৃষ্টির পানি জমা হয়ে মশার বংশ বিস্তার করছে।

 

অনেক নির্মাণাধীন বাড়ি, এমন-কি কমপ্লিট বাড়িতেও অপ্রয়োজনীয় চৌবাচ্চা রয়েছে। যা ডেঙ্গুর প্রজনন ক্ষেত্র। মনে রাখতে হবে কাউন্সিলার বা মেয়র তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন আপনার বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত মশা নিধন করলেও আপনার বাড়ির ছাদ, সংরক্ষিত হাড়ি পাতিল বা চৌবাচ্চা আপনাকেই পরিষ্কার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ডাম্পিং করতে হবে। অব্যবহৃত চৌবাচ্চা বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা বা আপনি যতই মশা নিধন করি না কেন কোন সুফল পাব না। কারণ নিজের বাড়িতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করে মশা নিধন সম্ভব হবে না।

 

তাই প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ থাকবে নিজ নিজ বাড়ি-ঘর পরিছন্ন রাখুন। বাড়ির কোথাও স্বচ্ছ পানি জমতে দিবেননা। অপ্রয়োজনিয় জঞ্জাল ডাম্পিং করুন। গৃহস্থালি বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলবেন না। কারণ মশা, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আবর্জনায় জন্মায়। তাই আপনার গৃহস্থলী বর্জ্য নাসিক কর্তৃক নিয়োগকৃত এইড বাংলাদেশের এনজিওর গাড়িতে দিন। নিজে সচেতন হোন, অপরকে সচেতন করুন। মনে রাখবেন একজনের অসচেতনতা বা একটি ভুল পদক্ষেপ হাজারো মানুষের ভোগান্তির কারণ। নাগরিক সেবার জন্য যে কোন সময় ফোন করুন ০১৭১৭১৭৮২৪২।

 

মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ 
লেখক : কাউন্সিলার-১৩ নং ওয়াডর্, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশ                                                                                

এই বিভাগের আরো খবর