ডিমের কুসুম খাবেন না কি খাবেন না ?
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০১৯
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : আধুনিক জীবনযাত্রা ও খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের জেরে শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, ওবেসিটি, পলিসিস্টিক ওভারি— জীবনশৈলীর দোষে তৈরি হওয়া এ সব রোগের হানায় পাত থেকে বাদ হয়ে যায় অনেক প্রিয় খাবারদাবার।
এই যেমন ডিম। কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকেই বাদ দেন ডিমের কুসুম। নব্বইয়ের দশকে আমেরিকান হেলথ সেন্টারের একটি গবেষণা নাড়িয়ে দিয়েছিল তামাম চিকিৎসক মহলকে। তখনই জানা যায়, হার্টের অসুখ ও কোলেস্টেরল বাড়ানোর কলকাঠি নাড়ে ডিমের কুসুম। একটি মাঝারি মাপের ডিম থেকে প্রায় ১৪৫-১৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। তার পর থেকেই পাত থেকে ডিমের কুসুম উধাও করতে শুরু করলেন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ।
ফলে ভোজনরসিকদের দুঃখ উপচে পড়ল, সঙ্গে গরিব মানুষের পাতে প্রোটিনের একটি জরুরি অথচ সস্তা উপাদান সরে যাওয়ার উপক্রম হল। কিন্তু এই ক’বছরে আদৌ কি বদলেছে এই ধারণা ? চিকিৎসকদের মত কি কোনও ভাবে বদলাতে পারল আধুনিক কোনও গবেষণা ?
পুষ্টিবিদদের মতে ‘এক সময় কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিমের কুসুম রাখা হত না রোগীর পাতে। কিন্তু আধুনিক বেশ কিছু গবেষণা, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নানা রিপোর্ট ও ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষণা আমাদের অন্য ভাবে ভাবতে বাধ্য করে।’
কেন ? পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের মোট দু’টি অংশ। সাদা অংশ বা অন্ডিতে থাকে প্রোটিনের ভাগ আর কুসুমে কোলেস্টেরল, ভিটামিন বি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলি সবই আমাদের নানা জৈবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কোলেস্টেরলেরও কিছু প্রয়োজনীয় কাজ থাকে। যেমন, পিত্তে উপস্থিত অ্যাসিড তৈরিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে এটি।
এ ছাড়া ভিটামিন ডি-র জোগান দিতে কাজে আসে কোলেস্টেরল। নানা যৌন হরমোন ক্ষরণেও ডিমের কুসুম সাহায্য করে। বরং ঠিকঠাক কোলেস্টেরলের জোগান না পেলে শরীর নিজেই তা বানিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তাই গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ডিমের কুসুম।
তবে বেশি নয়, দিনে দু’টি ডিম কুসুম সমেত খান। কিন্তু সংখ্যাটা তার বেশি হলে খান সাদা অংশই। কারণ কোলেস্টেরলের আধিক্যও শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই পাতে কুসুম-সহ ডিম রাখতেই পারেন দু’টি। তা বলে আবার তেলে ভেজে বা মাখনে বেক করে ডিম খাবেন না। চেষ্টা করুন সেদ্ধ ডিমই খেতে। তেল-মশলা থেকে বরং দূরে থাকুন। বাদ দিন ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড। এতেই কমবে কোলেস্টেরলের ভয়।
- কাশি (Cough) চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
- দাঁতের মাড়ির রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি
- ইপিআই টিকার তথ্য লিপিবদ্ধ হয় কাগজে
- বাত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- স্তন প্রদাহে হোমিও চিকিৎসা
- লিউকোরিয়া (Leucorrhoea) চিকিৎসা ও প্রতিকারে হোমিওপ্যাথি
- কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস নয়, হোমিও সমাধান
- হোমিওপ্যাথিতে জলবসন্তের প্রতিকার ও প্রতিষেধক
- আইবিএস-ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
- এলার্জিজনিত আর্টিকারিয়া বা আমবাতে হোমিওপ্যাথির উপকারিতা
- কোলন ক্যান্সার নিরাময়ে হোমিও সমাধান
- মশা টার্গেট করে যাদেরকে কামড়ায় !
- কিডনী পাথর চিকিৎসায় হোমিও প্রতিবিধান
- জেনে নিন প্রতিদিন সুস্থ থাকার উপায়
- না’গঞ্জে ৩ এপ্রিল ৪০৭ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ১৩৭