বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ডাইং কারখানার বর্জে ভয়াবহ দূষণে ব্রহ্মপুত্র নদী

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

রূপগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : রূপগঞ্জে ব্যঙ্গের ছাতার মত গজে উঠেছে ডাইং কারখানা। এসকল ডাইং কারখানার বর্জ্যে নদনদীর মাছ বিলিন হচ্ছে তেমনি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। পঁচা পানির র্দুগন্ধে এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারছেনা।

 

বর্জ্য পানিতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, বিলিন হচ্ছে দেশীয় মাছ, জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। রূপগঞ্জ, সোনারগাও ও আড়াইহাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি ডাইং কারখানা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 


এসকল কারখানা গুলো নামে বেনামে গড়ে উঠলেও তা দেখার কেই নেই। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এলাকাবাসীর কাছে এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর ঘেঁষে উপজেলার হোড়গাও বাজার ও দড়িকান্দি এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ডাইং কারখানা। 


এছাড়াও কালীবাড়ি পর্যন্ত গড়ে উঠেছে আরো শতাধিক কারখানা। এসব ডাইং কারখানার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। তার পরও মালিক পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ডাইং কারখানা।


 জাহাঙ্গীরের দুইটি, শওকতের দুইটি, সমীর বাবুর, বাজু, সুমন, সাইফুলের একটি করে ডাইং কারখানার খোঁজ পাওয়া গেলেও বাকি ডাইং কারখানাগুলোর কোন মালিক খুজে পাওয়া যায়নি। এক

দিকে বর্জ্যরে পানিতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, বিলিন হচ্ছে দেশীয় মাছ, জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। 
প্রতিনিয়তই এসব ডাইং কারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্যরে পানি পড়ছে সরাসরি ব্রহ্মপুত্র নদীতে। যার ফলে  ব্রহ্মপুত্র নদীতে মিঠা পানির অভাবে ধবংস হচ্ছে ছোট বড় দেশীয় মাছ।

 

এই পানি মানুষের ব্যবহারের কোন কাজে আসছেনা। বিষাক্ত বর্জ্যরে পানিতে প্রতিদিন মশার জন্ম হচ্ছে। পঁচা পানির র্দুগন্ধে এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারছেনা। এই অবৈধ কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ভয়ে এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করতে পারছেনা। 
এ বিষয়ে কথা হয় কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, আমার কয়েকটি কারখানা আছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ডাইং কারখানা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, আপনারা নিউজ করে কোন লাভ হবেনা।


এ ব্যাপারে হোড়গাঁও এলাকার আলী আকবর বলেন, এই ব্রহ্মপুত্র নদীতে এক সময় আমরা মাছ ধরতাম, গোসল করতাম, রান্নার কাজেও ব্যবহার করতাম। এখানে হিন্দু ধর্মের লোকজন ¯œান করতো। পঁচা পানির কারণে এখন আর ¯œান করতে পারেনা। এখন এ পানির দূর্গন্ধে কাছ দিয়েও হাটতে পারিনা।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, এসকল অবৈধ ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথাটা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এই বিভাগের আরো খবর