ডাইং কারখানার বর্জে ভয়াবহ দূষণে ব্রহ্মপুত্র নদী
প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
রূপগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : রূপগঞ্জে ব্যঙ্গের ছাতার মত গজে উঠেছে ডাইং কারখানা। এসকল ডাইং কারখানার বর্জ্যে নদনদীর মাছ বিলিন হচ্ছে তেমনি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। পঁচা পানির র্দুগন্ধে এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারছেনা।
বর্জ্য পানিতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, বিলিন হচ্ছে দেশীয় মাছ, জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। রূপগঞ্জ, সোনারগাও ও আড়াইহাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি ডাইং কারখানা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এসকল কারখানা গুলো নামে বেনামে গড়ে উঠলেও তা দেখার কেই নেই। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এলাকাবাসীর কাছে এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর ঘেঁষে উপজেলার হোড়গাও বাজার ও দড়িকান্দি এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ডাইং কারখানা।
এছাড়াও কালীবাড়ি পর্যন্ত গড়ে উঠেছে আরো শতাধিক কারখানা। এসব ডাইং কারখানার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। তার পরও মালিক পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ডাইং কারখানা।
জাহাঙ্গীরের দুইটি, শওকতের দুইটি, সমীর বাবুর, বাজু, সুমন, সাইফুলের একটি করে ডাইং কারখানার খোঁজ পাওয়া গেলেও বাকি ডাইং কারখানাগুলোর কোন মালিক খুজে পাওয়া যায়নি। এক
দিকে বর্জ্যরে পানিতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, বিলিন হচ্ছে দেশীয় মাছ, জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।
প্রতিনিয়তই এসব ডাইং কারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্যরে পানি পড়ছে সরাসরি ব্রহ্মপুত্র নদীতে। যার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদীতে মিঠা পানির অভাবে ধবংস হচ্ছে ছোট বড় দেশীয় মাছ।
এই পানি মানুষের ব্যবহারের কোন কাজে আসছেনা। বিষাক্ত বর্জ্যরে পানিতে প্রতিদিন মশার জন্ম হচ্ছে। পঁচা পানির র্দুগন্ধে এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারছেনা। এই অবৈধ কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ভয়ে এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করতে পারছেনা।
এ বিষয়ে কথা হয় কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, আমার কয়েকটি কারখানা আছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ডাইং কারখানা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, আপনারা নিউজ করে কোন লাভ হবেনা।
এ ব্যাপারে হোড়গাঁও এলাকার আলী আকবর বলেন, এই ব্রহ্মপুত্র নদীতে এক সময় আমরা মাছ ধরতাম, গোসল করতাম, রান্নার কাজেও ব্যবহার করতাম। এখানে হিন্দু ধর্মের লোকজন ¯œান করতো। পঁচা পানির কারণে এখন আর ¯œান করতে পারেনা। এখন এ পানির দূর্গন্ধে কাছ দিয়েও হাটতে পারিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, এসকল অবৈধ ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথাটা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ