শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার  (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাইফেল ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। 
এ সময় আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে আজ বহু মনীষীরা কথা বলেছেন। বলেছেন বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে একটি দেশ দিয়েছিলো আর বঙালী তাঁকে হত্যা করেছিলো। 


আসলে আমরা এই জাতি ছিলাম একটা বেইমান জাত। এই বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন যৌবন দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলো আর আমরা কিন্তু তাঁকে হত্যা করেছিলাম। একজন বড় সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন তিনি রক্তে মাংসে ও গঠনে একজন বীর পুরুষ ছিলেন। 


তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন এবং কারা হত্যা করেছিলো এগুলো আপনাদের জানতে হবে ও বুঝতে হবে। কারা হত্যা করেছে ? যারা ১৯৭১ সালকে মানতে পারেনি। কারা হত্যা করছে? যারা চায়নি এই দেশটি স্বাধীন হোক। 


আমরা দেখেছি যে, ১৯৭১ সালে ঐ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারী যারা ছিলো তাঁরা বার বার ক্ষমতায় অধীষ্ঠিত হয়ে এরশাদ সরকার ও বিএনপির সময়ে মন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন! কিন্তু তাঁদের বিচারও এই বাংলার মাটিতে কার্যকর হয়েছে। 


নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাংলার রাখাল রাজা যার ডাক শুনে হ্যামিলিওনের বাঁশি ওয়ালার মতো সমস্ত মানুষ ৭১’র যুদ্ধে নেমে এসেছিলো। তাই সমস্ত বিশ্ব তাকে মহান নেতা বলে। 


তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যাকে হারিয়েছি এই দিনে ৭৫ ১৫ই আগস্টে। 
তিনি বলেন, আজ থেকে ৪০ বছর আগে কোন এক শ্রাবন মাসের রাত্রিতে আমরা তাঁকে হারিয়েছি। তাই আজ আমরা দিশেহারা। এই হারানোটা এক দিনে আসে নি।


বাংলাদেশের মহার মুক্তি সংগ্রামে যখন সবাই এগিয়ে আসলো তখনই একটি কুচক্রী মহল বাংলাদেশের পতাকা ধ্বংষ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। 


অল্প সময়ের মধ্যে যখন তিনি (বঙ্গবন্ধু) এই দেশকে সাজিয়ে দিচ্ছিলো, রাষ্ট্রের প্রতিটি সংগঠনকে যখন তৈরী করছিলো আমাদের মহান নেতা তখন তাকে থাকতে দেয়া হয়নি। খুনি মোশতাক ও মেজর ডালিমের চক্র কিন্তু তাকে থাকতে দেয়নি। 


এরা শুধু পাকিস্তানি পেতাত্তাই নয় এরা বাংলাদেশসহ বহু দেশকে ধ্বংষ করেছে। আজকে নতুন প্রজন্ম সামনে এসছে তাঁদের কিন্তু এই ইতিহাসকে মনে রাখতে হবে। 


মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন রাজনৈতীক কর্মী। রাজনীতি করতে আমি ভালোবাসি এবং মানুষকে ভালোবাসতে চাই, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাই। 


জাতির জনক শেখ মুজিব আমাকে এই শিক্ষাই দিয়ে গিয়েছেন। আমরা সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েই আজকে মানুষকে ভালোবাসতে চাই ও মানুষ  যেন, ভালো থাকে সেটাই চাই। 


তিনি বলেন, আজকে আমরা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য রাজনীতি করি! আমরা নিজেদের বিভিন্ন বিপদ থেকে দূরে রাখার জন্য রাজনীতি করি অথচ বঙ্গবন্ধু কিন্তু আমাদের সেই শিক্ষাটা দেয়নি। 


বঙ্গবন্ধু মানুষের বিপদে আপদে তাঁদের দূর্দিনে পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে এবং এই জন্যই তিনি বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন। তিনি শিখিয়েছিলেন যে, তোমরা মানুষকে ভালোবাসো তাহলেই তোমরা মানুষের ভালোবাসা পাবে ও রাজনীতিতে স্বার্থকতা অর্জন করতে পারবে। 


এ সময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব ১১’র সিও শমসের উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মহিলালীগের সভাপতি শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দনশীল প্রমুখ। 
 
 

এই বিভাগের আরো খবর