মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

জেলা প্রশাসকের বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে হাই কোর্ট

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিা (যুগের চিন্তা ২৪) : রূপগঞ্জ উপজেলাধীন পিতলগঞ্জ ও মোগলান মৌজায় ভূমিদস্যু কর্তৃক অবৈধভাবে জলাশয়, খাল-বিল, ফসলী জমি প্রভৃতি বালু দ্বারা ভরাট বন্ধ করার জন্য স্থানীয় অধিবাসী ও জমির মালিকেরা মহামান্য হাই কোর্টে রীট পিটিশন নং- ৫১২১/২০১৯ দায়ের কারা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে ১৬ জুলাই এফিডেফিটের মাধ্যমে বক্তব্য দাখিল করেন, যা বুধবার (১৭ জুলাই) আদালতের কার্যতালিকায় উপস্থাপিত হয়।


বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে তৈমূর আলম খন্দকার এসোসিয়েটস কর্তক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিচারপতি বিচারপতি এফ.আর.এম. নাজমূল আহাসান এবং বিচারপতি কে.এম. কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন ব্যাঞ্চ গত ৭ মে এক আদেশে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে বালু ভরাট বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ’কে নির্দেশসহ বালু ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেন।

 


কোর্টের আদেশ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ ১৫ মে প্রাপ্ত হলেও অদ্যবদি অবৈধভাবে বালু ভরাট বন্ধ না করার বিষয়টি দরখাস্তকারীদের পক্ষে ৯ জুলাই এড.তৈমূর আলম খন্দকার আদালতের দৃষ্টিগোচর করলে বালু ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসক কর্তৃক কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য এফিডেফিটের মাধ্যমে হাই কোর্টে জমা দেয়ায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবিকে নির্দেশ প্রদান করেন।


সে মতে জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে ১৬ জুলাই এফিডেফিটের মাধ্যমে বক্তব্য দাখিল করেন, যাহা বুধবার (১৭ জুলাই) আদালতের কার্যতালিকায় উপস্থাপিত হয়। 


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উভয় পক্ষের শুনানীয়ান্তে এফিডেফিটের মাধ্যমে প্রদত্ব জেলা প্রশাসকের বক্তব্য আদালত প্রত্যাখান করে অবৈধভাবে বালু ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসককী ধরনের কার্যকর ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মর্মে পুনরায় জেলা প্রশাসককে বক্তব্য এফিডেফিটের মাধ্যমে আদালতে পেশ করার জন্য সহকারী এ্যাটর্নী জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুনরায় শুনানীর জন্য ২২ জুলাই আদালতের কার্যতালিকায় উপস্থাপিত হবে। 


এফিডেফিটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য অসম্পূর্ণ, অস্পষ্ট ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য না থাকায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, পরবর্তী বক্তব্য স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ না থাকলে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও থানা নির্বাহী অফিসারকে আদালতে তলব করা হবে। 


রীট পিটিশন শুনানী করেন এড.তৈমূর আলম খন্দকার এবং তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। জেলা প্রশাসক ও রাষ্ট্র পক্ষে শুনানী করেন সহকারী এ্যাটর্নী জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।     

এই বিভাগের আরো খবর