মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

জেলা আওয়ামী লীগের মিটিং নিয়ে তুঘলকি কা্ন্ড!

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সেক্রেটারি ভিপি বাদলকে ঘিরে বিতর্ক যেন কোনক্রমেই থামছেনা। এবার কাউকে না জানিয়ে হুট করে মিটিং ডেকে আবার হুট করেই মিটিং স্থগিত করায় সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

 

জেলা আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, কাউকে না জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একটি জরুরী সভা ডেকে বেঁছে বেঁছে টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়ে বন্দরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ১৫ ডিসেম্বর আয়োজন করার কথা জানান সেক্রেটারি ভিপি বাদল।

 

এতে বাদ যায় সিনিয়র সহসভাপতি মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা। জরুরী এই মিটিং এর আয়োজন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে না করে বন্দরের সুরুজ্জামান টাওয়ারের লবস্টার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজন করার কথা জেনে হতবাক হন সবাই। তাছাড়া এই মিটিং ডাকার ক্ষেত্রেও সাংগঠনিক নিয়ম না মানার অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ।

 

সারাদিন এবিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর জেলা আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সবাই আশঙ্কা ছিলো এই মিটিংটি হবে কিনা! কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ করে সভাপতির অসুস্থতার কথা জানিয়ে মিটিংটি স্থগিত করা হয়। স্থগিত করার কথা জেনে অনেকে মন্তব্য করেন, এটি জেলা আওয়ামী লীগের তুঘলকি কান্ড।  


জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জরুরি মিটিং ডাকার নিয়ম হচ্ছে তিনদিন আগে সবাইকে জানানো। এটি মানা হয়নি। তাছাড়া শহরে মিটিং না ডেকে তিনি বন্দরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মিটিং ডেকেছেন শুনেছি। জেলা আওয়ামী লীগ তো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গঠিত হয়নি। আমি সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন তিনি অসুস্থ্য, মিটিং হবেনা।

 

আমাদেও তো জানায়ইনি, তো স্থগিত হওয়ার কথা আসে কোথা থেকে? মিটিং ডাকা নিয়ম-মাফিক হয়নি। সভাপতি-সেক্রেটারি তাদের খেয়াল খুশি মোতাবেক জেলা আওয়ামী লীগ চালান, বাকিদের শুধু শুধু কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ একই বক্তব্য জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, এড.আসাদুজ্জামান আসাদ, আদিনাথ বসুসহ কমিটির বেশিরভাগ সদস্যদের। এনিয়ে সভাপতি, সেক্রেটারির উপর ক্ষোভ চরমে।   


তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় মিটিংটি স্থগিত করা হয়েছে। আমার প্রেসার ৫০ এর নিচে নেমে গেছে। আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা। আমি সবাইকে জানাতে না পারলেও অন্যদের জানিয়ে দিতে বলেছি। মিটিং আয়োজনের ব্যাপারটিতেও আমি হস্তক্ষেপ করিনি। মিটিংটি ডাকা হয়েছিলে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে ঘিরে ডেলিগেটদের কার্ড দেয়ার জন্য। এর বেশি কিছুনা। 

এই বিভাগের আরো খবর