জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তাঁর নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের দুঃশাসনে দেশ যখন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিলো, দেশের সাধারণ মানুষের সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো, তখন জিয়াউর রহমান দেশের সিপাহী জনতাকে সাথে নিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন।

তিনি বলেন, কিন্তু একটি কুচক্রীমহল বাংলার মানুষের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সর্কিট হাউজে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তারা এদেশ থেকে জিয়ার নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি বিশ্বাস। তাই দেশের লক্ষ কোটি জিয়ার সৈনিকের মনের মাঝে আজো বেঁচে রয়েছেন বাংলার প্রথম রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান।

শনিবার (৩০মে) দুপুরে বন্দরের তিনগাও এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাপ্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ দোয়া ও খাবার বিতরণী অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ত্রাণ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে যাচ্ছে। লকডাউনে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী আওয়ামী লীগের নেতারা লুটেপুটে খাচ্ছে। সরকার দেশের ৫০ লাখ  মানুষকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অথচ এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারের এই টাকা হাতিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম ও মোবাইল নাম্বার জমা দেওয়া হয়েছে, সেসব তালিকায় খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের নাম স্থান পায়নি।

তিনি আরও বলেন,  বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আমরা করোনার বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সামর্থ অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করছি আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াতে। আপনারা মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন।

যুবদলের কার্যকরী সদস্য সম্রাট হোসেন সুজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মনির হোসেন খান, যুগ্ম সম্পাদক সলিমুল্লাহ বাবুল, জেলা যুবদলর সহসভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মনজুরুল আলম মুসা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সজিব খন্দকার প্রমুখ।

এসময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দুস্থ্যদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।