শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জাতীয় সম্পদ লুটপাটের বিরুদ্ধে শনিবার সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৯  

 ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : জাতীয় সম্পদ নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রের লুটপাটের বিরুদ্ধে আগামীকাল  শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৫টায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সমাবেশ ও পরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে জ্বালানী খাতের অব্যবস্থা ও দুর্নীতির দায় যখন জনগণের উপর চাপাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে, তখন দেশের দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের কয়লা, গ্যাস সহ জাতীয় সম্পদ নিয়ে চলছে দেশী ও বিদেশী গোষ্ঠীর গভীর ষড়যন্ত্র।  

সুন্দরবনের চারপাশে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গদের ৩২০টি শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। 

অথচ ইউনেস্কোকে বলছে, সরকার সেখানে কোন ভারী শিল্পকারখানার অনুমতি দেয়নি। সরকার রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে ধ্বংসের সকল আয়োজন করে চলেছে। 

অন্যদিকে রূপপুরে যে ২৪০০ মেগাওয়াট পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে, সরকার তাকে ‘উন্নয়ণ’ ও ‘জাতীয় গৌরব’ বলে অবিহিত করছে। অথচ রাশিয়ায় চেরনোবিলের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বিশ্বের বহু দেশ এ পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে এসেছে। 

আমাদের মতো ঘন-বসতীপূর্ণ দেশে এর ভয়াবহতা ও পরিবেশ নিয়ে দেশী ও বিদেশী বহু বিশেষজ্ঞ শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারকে সতর্ক করলেও সরকার তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে তাদের সিদ্ধান্ত মতো এগিয়ে যাচ্ছে।

৩ বছরের ব্যবধানে এ প্রকল্প-ব্যয় ৩২ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কী ধরনের দুর্নীতি সেখানে হচ্ছে তার নজির সম্প্রতি দেশবাসী জেনেছে। একটি বালিশের হিসাব থেকেই। 

অন্যদিকে উত্তর বঙ্গের ফুলবাড়ীর কয়লাখনি নিয়ে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ফুলবাড়ীর কয়লখনি নিয়ে বিতারিত এশিয়া এনার্জি তাদের নাম বদলে ‘জিএসএম’ নামে এখনো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তারা বেআইনীভাবে ফুলবাড়ী কয়লাখনি নিয়ে লন্ডনে শেয়ারবাজারে যেমনি ব্যবসা করে যাচ্ছে আবার সম্প্রতি ঢাকায় চীনের ‘পাওয়ার চায়না’র সঙ্গেও চুক্তি করেছে। 

বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে বিদেশে বসে বিদেশী কোম্পানী ব্যবসা করছে, অথচ সরকার বলছে এসবের কিছুই তারা জানে না। সরকারের প্রশ্রয়ে ও মৌন-সমর্থনেই আজ আমাদের জাতীয় সম্পদ নিয়ে দেশী-বিদেশী লুটেরা চক্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

জাতীয় সম্পদ নিয়ে যে লুটপাট  চলছে, তার বিরুদ্ধে যাতে কেউ আইনী ব্যবস্থা নিতে না পারে সরকার তার জন্য দায়মুক্তি আইন করে দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর