শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জলাবদ্ধতা নিরসনে ধীরগতি, আতঙ্কে ডিএনডিবাসী

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪)  : বৃষ্টি মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। আর তাই  (ডিএনডি) প্রকল্পের আওতাধীন জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ একটু বৃষ্টিতেই এখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় লাখ মানুষের। 


জানা গেছে, ডিএনডির জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন ও পানি নিষ্কাশনে একনেকের সভায় ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প পাস হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন তেমনটা দেখা মিলছেনা। মাঝে মধ্যেই একটু ময়লা পরিষ্কার করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে অতি ধীর গতিতে।


প্রকল্প অনুমোদনের দুবছর পার হলেও কাজ না হওয়ার বিষয়ে ডিএনডির পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক বলেন, দ্রুত গতিতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। 


এর আগে, ২০১৫ সালের বর্ষা মৌসুমে ডিএনডি এলাকার তিন  সংসদ সদস্যের অনুরোধে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনডি এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র পরিদর্শন করেন। পরে ২০১৬ সালে একনেকের সভায় ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।


তবে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের পর দুবছর পার হয়ে ফের বর্ষা মৌসুম চলে এসেছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, খাল।


সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএনপির পানি নিষ্কাশনের জন্য ফতুল্লা শিবু মার্কেট হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পাম্প হাউজে গিয়ে মিশেছে। খালের বেশির ভাগ অংশই ভরাট হয়ে গেছে, শিবু মার্কেট, কাঠেরপুল, দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকাসহ বৃহত্তম ফতুল্লায় পয়ঃনিস্কাশন বর্জ্য ও পলিথিনের কারণে পুরো খালটি ভরাট হয়ে গেছে। এর কারণে পানি নিষ্কাশন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড খালের ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায়। এমন অবস্থা চললেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনও উদ্যোগ নেই।


ডিএনডি সূত্রে জানা যায়, ডিএনডি থেকে সুষ্ঠুভাবে সেচ কাজ পরিচালনা করা এবং পানি নিষ্কাশন করার জন্য ৯টি সেচ খাল, ৯টি ডিটিও খাল, ২১০টি আউটলেক খাল, ৮৫টি চকবন্দি খাল অনুসারে ১০টি নিষ্কাশন খাল রয়েছে। এছাড়াও এক কিলোমিটার দীর্ঘ ইনটেক খাল, ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মেইন ক্যানেল টার্ন আউট খাল রয়েছে। এসব খালের অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের তথ্য মতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর কাজটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিএনডির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকাতে কাজ চলছে। তবে ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীর অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।


উল্লেখ্য, ১৯৬৫-১৯৬৮ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা অঞ্চলের ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে ইরিগেশনের জন্য গড়ে তোলা হয় ডিএনডি প্রজেক্ট। কিন্তু এই প্রজেক্টের ভিতরে গড়ে উঠেছে একের পর এক গড়ে উঠতে শিল্প-কারখানা ও বাড়িঘর। এখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর