শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনসমর্থন ছাড়া সন্ত্রাস করা যায়, আন্দোলন করা যায় না : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়নি হত্যা করা হয়েছে আমাদের স্বপ্নকে। ঐ স্বপ্ন পূরণ করতে দায়িত্ব নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। 

উনি অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্বপ্ন পূরন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। উনি ওনার জন্য কিছু করতে চায় না। শুধু বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। আমাদের জন্য নয় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। তাই শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করতে হবে। 

দেশে ২ নাম্বার লোকে ভরে গেছে। নারায়ণগঞ্জে অর্জিনাল মুক্তিযোদ্ধাদের দেখি কষ্ট করে চলছে এবং ঠিকমত সংসার চালাতে পারে না। অথচ নামধারী মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে ভাল অবস্থানে রয়েছে। অনেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়েছে তারা ক্ষনে ক্ষনে রূপ পাল্টায়। যে সরকার আসে সেই সরকারের সাথে আতাত করে মুক্তিযোদ্ধার নাম বিক্রি করে সুবিধা নেয়। কিন্তু যারা অর্জিনিয়াল মুক্তিযোদ্ধারা নাম বিক্রি করে না। তারা দেশকে ভাল বেসে মুক্তিযোদ্ধা করেছেন।           প


তিনি আরও বলেন, যারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারে তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলেন। আমি বিএনপিকে বলবো, জনসমর্থন ছাড়া সন্ত্রাস করা যায় আন্দোলন করা যায় না। জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়ে যুদ্ধপরাধী জামাতকে ছেড়ে জনসমর্থন তৈরি করেন। জনসমর্থন ছাড়া এ দেশে কিছুই করতে পারবেন না।  

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষীনগর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্দেগে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নিহত বক্তাবলী পরগণায় ১৩৯জন শহিদদের স্মরণে দোয়া ও শোক সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বক্তাবলীবাসীর দাবির পেক্ষিতে শামীম ওসমান আরও বলেন, গত দুই বছর আগে বক্তাবলীতে একটি অনুষ্ঠান করেছিলাম। সেই মিটিংয়ে সেই সময়ের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ আলী ভাইকে বলছিলাম বক্তাবলীর ১৩৯ জন শহিদদের তালিকা দেয়ার জন্য। আজও সেই তালিকা আমাকে দেয়া হয়নি। শহিদ তালিকা হাতে পেলে হয়তো বা কিছু একটা করতে পারতাম। 

তাই আমি আমার ছোট বোন ইউএনও নাহিদা বারিককে বলবো তিনি যেন বক্তাবলীর চেয়ারম্যান শওকত ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে শহিদদের তালিকা করেন। কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য এ তালিকা দরকার। বক্তাবলীর শহিদ পরিবার কি পেয়েছে আমি জানি না। তবে বঙ্গবন্ধুর দেয়া একটি চিঠি পেয়েছেন। এটি একটি মূল্যবান সম্পদ। জাতির পিতার চিঠিটা আপনাদের জন্য অনেক মূল্যবান সম্পদ বলে আমি মনে করি। 

তিনি আরও বলেন, অনেকে আমাকে বলছেন ১৩৯ জন শহিদ পরিবারের জন্য সংসদে কিছু বলি। জাতীয় সংসদে কিছু বলতে হলে আমাকে সঠিক তথ্য নিয়ে তা উপস্থাপন করতে হবে। জানুয়ারূ মাসে সংসদের প্রথম অধিবেশন। তাই এর মধ্যে বক্তাবলী পরগণার ১৩৯ জন শহিদদের তালিকা করে আমাকে দিন। যাতে করে আমি সংসদে উত্থাপন করতে পারবো এবং কাজ সফল করে নিয়ে আসবো। আমি চাই বক্তাবলী পরগণার ১৩৯ জন শহিদ পরিবার মূল্যায়িত হউক। 

শোক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চলনায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শাহিন, শহিদ পরিবারের সদস্য হারুন অর রশিদ দুলাল, আলী হোসেন প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান,  সহসভাপতি শরিয়ত উল্লাহ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ডা: শফিউদ্দিন আহম্মেদ মিন্টু, বক্তাবলী আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 
 
 

এই বিভাগের আরো খবর