শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চেয়ারম্যান সেন্টুর উপস্থিতিতে মা ও ছেলেকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : ফতুল্লায় জোর করে জমি দখল করতে না পেয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সামনে এক মা ও তার কলেজ পড়–য়া ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার সকালে কুতুবপুরের আদর্শনগরের বকুল তলা এলাকায় হাজেরা আক্তার মুক্তা ও নাজমা আক্তারের মধ্যে এঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার একদিন পর বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে শুরু হয়ে তীব্র সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে এই ঘটনা কীভাবে ঘটে?


বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা আক্তার জানান, মেইন রোড থেকে একটি বহুতল ভবনের পরেই আমাদের বাসা। ওই ভবনের মালিক যতটুকু রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দেয়াল করেছে তেমনি আমিও সেই দেয়াল সোজা করে দেয়াল করেছি। সড়কে আমার ৩ ফিট জমি দেয়া আছে। আর আমার সামনের হাজেরা আক্তার মুক্তার বাড়ি রাস্তা দখল করে করেছে।


সে এক ফুট জমিও ছাড়েনি। এখন প্রভাব খাটিয়ে কয়েকদিন পরপরই দলবল নিয়ে এসে আমার বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আমাকেসহ আমার সন্তানদের মারধর করে। এ ঘটনায় আগে হাজেরা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি।

তিনি আরও জানান, কয়েকদিন ধরে আবারও আমার দেয়াল ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টা করছে হাজেরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ স্থানীয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও একই ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মেম্বারকে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার অনুরোধ করেন।

সে মতে রোববার চেয়ারম্যান ও মেম্বার আসলে তাদের সামনেই প্রভাব খাটিয়ে আমার বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গার চেষ্টা করে হাজেরা ও তার লোকজন। এসময় আমি বাধা দিলে হাজেরার লোকজন আমাকে মারধর করে। তখন দূর থেকে আমার ছেলে কলেজ ছাত্র উজ্জলকে মোবাইলে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে মোবাইল নিয়ে যায়।

নাজমা বলেন, প্রায় ৭ বছর যাবত হাজেরা আক্তার আমাদেরকে নির্যাতন করছে। এছাড়া সে অসামাজিক কাজেও জড়িত থাকায় এলাকাবাসী এর আগে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গণসাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন।

হাজেরা আক্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তা দখল করে নাজমা আক্তার দেয়াল করেছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসলেও কিছুতেই নাজমা রাস্তা থেকে দেয়াল সরিয়ে নিবেনা। আমার কোনো লোকজন নেই। এসব মিথ্যা।

এসময় হাজেরা সাংবাদিকদের তার ঘরে ডেকে নিয়ে সিসিটিভি ছেড়ে ঘটনার দিনের রেকর্ড করা ভিডিও দেখান। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে হাজেরার লোকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সামনে নাজমা আক্তারকে মারধরসহ ধাক্কা ধাক্কি করছে। নাজমার ছেলে উজ্জলকে মারধর করছে। এদৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করতে গেলে হাজেরা তা করতে দেয়নি।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার সঙ্গে যাওয়া স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিন বলেন, হাজেরা আক্তার ও নাজমা আক্তার দুজনেই উশৃংখল। তবে বেশি উশৃংখল হাজেরা আক্তার।

আমরা জমি মাপঝোপের জন্যই সেখানে গিয়ে ছিলাম। পরে হাজেরা ও তার লোকজনের উশৃঙ্খলতার কারনে আর মাপঝোপ করিনি। এবিষয়ে ইচ্ছে করলে হাজেরা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে নাজমা আক্তার মামলা করতে পারেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন সমাধানের জন্য। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

 

এই বিভাগের আরো খবর