শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চিকেন পক্স হলে করণীয়

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা) : জলবসন্ত বা চিকেন পক্স একটি অতি সংক্রমক ভাইরাসজনিত রোগ। শিশুদের এ রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে। ছোঁয়াচে এ রোগ সারা বছর দেখা গেলেও গরমের সময়ে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।


চিকেন পক্সের লক্ষণ : ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ, হাঁচি-কাশি এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়। এ রোগে চুলকানিসহ লালচে পানিযুক্ত গোটা হয়। এ সময় শরীর ম্যাজম্যাজ করে, হালকা ব্যথা হয়, জ্বর হয়, গায়ে ছোট ছোট বিচি বা র‌্যাশ উঠে। সাধারণত এ র‌্যাশ বুকে-পিঠে দেখা যায়, তবে সারা শরীরেই উঠতে পারে।


করণীয় : জলবসন্ত বা চিকেন পক্স রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে আলাদা একটি ঘরে রাখা উচিত। রোগীর ব্যবহৃত পোশাক, গামছা যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মেনে চলতে হবে। অ্যালার্জি বাড়ে এমন পরিবেশ ও খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। প্রয়োজনে নিম পাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন। সাবান পানি দিয়ে পক্স ধুতে পারবেন। তবে গা ঘষতে যাবেন না। গোসল শেষে তোয়ালে বেশি চেপে গা মুছবেন না। যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভাবেই শরীর শুকিয়ে নিন।


চিকেন পক্সের ক্ষত খুঁটলে স্থায়ীভাবে দাগ বসে যাবে। তবে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে দাগ এমনিতেই চলে যায়। এ জন্য মুখে ডাবের পানি, দুধের সর, ঘি বা প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।


চিকিৎসা : ভাইরাস ঘটিত এ রোগে সাধারণত বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োজন হয় না। নিয়ম মেনে চললে ১০ থেকে ১৫ দিনেই পক্স ভালো হয়ে যায়। তবে সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধে ডাক্তারের পরামর্শ মতে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ভাইরাল খাওয়া যেতে পারে।


জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত চুলকানোর জন্য অ্যান্টি হিসটামিন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। শারীরিক দুর্বলতা কমাতে এ সময় বেশি করে তরল খাবারসহ ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার খান।

এই বিভাগের আরো খবর