বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চারতলা ভবন ধসের পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নগরীর ১নং বাবুরাইলে চারতলা ভবন ধসে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

একই এলাকায় সরকারি খালের উপর গড়ে ওঠা এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি অনুমোদনহীন ভবনকে যা ঝুঁঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর ভূমি কর্মকর্তা শিগগিরই অনুমোদনহীন ভবনের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।


গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের এক নম্বর বাবুরাইলের বেপারিপাড়া এলাকায় সরকারি খালের উপর অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে নিহত হয় শোয়েব ও ওয়াজিদ নামের দুই শিশু।  এ ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।  স্থানীয় এলাকাবাসীরা এ সকল ভবন চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন।


এক নাম্বার বাবুরাইল এলাকার বাসিন্দা রহিমা বেগম জানান, ভবন ধসের ঘটনার পর থেকেই বেশ আতঙ্ক রয়েছে তারা পরিবার। কখন কি হয় আল্লাহ্ও হাতে থাকলেও নিজেকেও তো কিছু দায়িত্ব থাকে। ভবনটি যদি ডোবায় না পড়ে কোনো বাড়ির ওপরে পড়তো তাহলে অবস্থাটা কি হত! কত মানুষ তারা যেত। আর যে দুটা বাচ্চা মারা গেল দুটি পরিবারের যে ক্ষতি হল এটার দায় এখন  কে নিবে?


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধসে পড়া ভবনটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি বাড়ির কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা বিষয়ে তেমন বেশি কর্ণপাত করে নি। বছর দুই এক আগে  বাড়িটির একদিকের খুঁটি ভেঙে যায়। পরে মিস্ত্রি এনে ওই খুঁটিটি মেরামত করা হয়। এদিকে এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই গত কয়েকদিন আগে চতুর্থতলার ছাদ ঢালাই দেয়। দেয়ালের কাজও চলামান ছিলো। 


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনটির পাশের ভবনটি অত্যন্ত বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সরকারি খাল দখল করে আরও ১৫ থেকে ২০টি ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এতে ভবনগুলোতে বসবাসরত পরিবারগুলো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।


বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান বিন আলী জানান, সরকারি খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ভবনের তালিকা তৈরি করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এদিকে ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ পরিবারের পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে নিহতের পরিবার ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
 

এই বিভাগের আরো খবর