মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৫৬ লাখ টাকা প্রতারনায় ২ প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ও ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫৬ লাখ টাকা প্রতারনার অভিযোগে প্রতারক চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। 

গত শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আবু জাহেদ নয়ন এবং মাহমুদুল হাসান@ রনি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র‌্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় অপারেশন অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী, পিপিএম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আবু জাহেদ নয়নের বাড়ী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সালেহপুর গ্রামে। সে ২০১৫ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকায় এমএলএসএস পদে অস্থায়ী চাকুরী নেয়। 

প্রায় এক বছর চাকুরী করার পর অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে চাকুরী হতে বহিষ্কার করা হয়। চাকুরীর সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে তার পরিচয় হয়। 

পরিচয়ের সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে চাকুরী প্রার্থীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। 

পাসপোর্ট অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, এমএলএসএস'সহ বিভিন্ন পদে প্রায় ৫০জন চাকুরী প্রার্থীকে চাকুরীর প্রলোভন ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। 

উক্ত টাকা গুলি আবু জাহেদ নয়ন বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক, এসএ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এবং নগদে গ্রহণ করে এবং বিশ¡াস যোগ্যতা অর্জনের জন্য ১০জন প্রার্থীকে ১০টি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। 

নিয়োপত্র পাওয়া প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে তাদের পদায়ন হয়েছে মর্মে ভুয়া দাপ্তরিক চিঠি প্রদান করে। গত ৯ জুন উক্ত ভুয়া চিঠি নিয়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগদান করলে তারা জানতে পারে যে, নিয়োগপত্র গুলি ভুয়া, জাল এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। গ্রেফতারকৃত নয়ন এই ভুয়া নিয়োগপত্র গুলো মাহমুদুল হাসান রনির মাধ্যমে তৈরি করে।  

ঢাকার শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাট এলাকায় রনির কম্পিউটার কম্পোজ এর একটি দোকান আছে। ঐ দোকানে আবু জাহেদ নয়ন ও মাহমুদুল হাসান রনি মিলে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করত। রনির দোকান হতে জব্দকৃত ল্যাপটপে এই নিয়োগপত্র তৈরীর অনেক আলামত পাওয়া যায়। প্রতারিত প্রার্থীরা সবাই নোয়াখালীর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। 
  
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর