চাঁদাবাজি মামলায় আজমেরী ওসমানের ২ সহযোগী ১ দিনের রিমান্ড

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় আজমেরী ওসমানের ২ সহযোগীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আফতাবুজ্জানের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলো-জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক ও ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় মো. ফকির চানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন রুুু (৩২), সোনারগাঁয়ের নাজিরপুর এলাকার গোলজার হোসেনের ছেলে ও শহরের গলাচিপা ডিএন রোডের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান (৩৫)।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা মৃত হাজী আহসান উল্লাহ’র ছেলে বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে আজমেরী ওসমানকে প্রধান আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে আজমেরী ওসমানকে। অন্য আসামিরা হলো শাহাদাৎ হোসেন রুপু (৩২), মোখলেছুর রহমান (৩৫), জুয়েলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় একটি নম্বর থেকে কল করে আজমেরী ওসমানের পরিচয় দিয়ে মামলার বাদী বাচ্চু মিয়ার কাছে ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা আনার জন্য মোখলেছুর রহমান কালিমন্দিরের সামনে বাচ্চু মিয়ার সাথে দেখা করে। 

পরে আজমেরী ওসমান তাকে ডাকছে বলে মোখলেছুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন জোর করে টেনে-হিঁচড়ে তাকে কালিরবাজারের মাংস পট্টির আফসু মহাজনের হোটেলের সামনে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। মারধরের পর চাঁদার টাকা না দিলে বাচ্চু মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।

এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের আজমেরী ওসমানের বাসা ও অফিস দেওয়ান মঞ্জিলে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি), ফতুল্লা মডেল থানা ও সদর মডেল থানার পুলিশের সদস্যরা। সেখানে আজমেরী ওসমানকে পাওয়া না গেলেও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তাতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন জানান, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা একটি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে আজমেরী ওসমানের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিল।