চলচ্চিত্র শিল্পী মদিল, অভিনয় তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
ইমতিয়াজ আহমেদ (যুগের চিন্তা ২৪) : দেলোয়ার হোসেন মদিল। অভিনেতা, প্রডাকশন কন্ট্রোলার, প্রযোজক, নাট্য পরিচালক ও একজন সঙ্গীত বোদ্ধা মানুষ। মেধাবী এই শিল্পীর মূল্যায়ন হয়নি নারায়ণগঞ্জে। তেলে মাথায় তেল দেয়ার প্রবণতা থেকে আজও মুক্ত হয়নি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। নইলে দেলোয়ার হোসেনের মত জাতশিল্পীদের অবশ্যই মূল্যায়ন হত এবং নতুন প্রজন্ম জানতো তাদের সম্পর্কে।
কথায় আছে প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। সারাজীবন চলচ্চিত্রের পেছনে ব্যয় করে আজ তিনি একজন সাধারণ শিল্পী। নাম, যশ খ্যাতিকে যিনি দুপায়ে মাড়িয়ে পথ চলতেন। সেই স্বর্ণালী দিনগুলো নেই।
জ্বলমলে রূপালী পর্দার দাপুটে অভিনেতা বন্দরের মদনগঞ্জের কৃতিসন্তান দেলোয়ার হোসেন মদিল। আপাদমস্তক একজন শিল্পী। অভিনয় যাঁর মজ্জাগত। সেই দেলোয়ার হোসেন আজও তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়নি। যদিও এই চলচ্চিত্র বোদ্ধা শিল্পী মানুষটি জীবনে তেমন কিছুই পাননি তবুও চলচ্চিত্র তাঁর ধ্যানজ্ঞান।
মেধাবী ও পরিশ্রমী এই মানুষটি বোসকেবিনের একটি পরিচিত মুখ। অনেকে তাঁকে হেলাফেলা করে থাকেন। সে সব গায়ে মাখেন না। নিজস্ব চিন্তাধারা থেকেই কাজ করেন। আজীবন অভিনয়ে যুক্ত থেকে দেলোয়ার হোসেনের মনটা আজও গেয়ে উঠে। ষাট ও সত্তর দশকের সুপার ডুপার হিট কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। সেই স্মৃতি আজো ভুলতে পারেননি। ভোলেননি বিখ্যাত সব পরিচালক অভিনেতা অভিনেত্রীর সাথে বিভিন্ন সেট-এ শ্যুটিংয়ের মধুর স্মৃতি।
স্মৃতির পাতা হাতড়ে দেলোয়ার হোসেন মদিল বলেন, ১৯৬৮ সালে কোন এক শুটিংয়ে বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা শাবানা ম্যাডামের সাথে পাগলার পপুলার স্টুডিওতে পরিচয় হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোস্তফা মাহামুদ, আজিজুর রহমান, মিতা, ইবনে মিজান, চিত্রগ্রাহক সাধন দা। তখন শাবানা আপা নারিন্দাতে তাঁর বাসায় আমাকে নিয়ে যান।
আমি তখন ছাত্র। ১৩ বছরের ছোট বালক। ৭২/৭৩ এ মফিজ সাহেব, ইনাম আহম্মেদ, জালাল উদ্দিন রুমী, মোহর চাঁন, আনোয়ার হোসেন ও আনোয়ারা আপার সাথে নাটকে সহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করি। তারপর ৭৪ এ ইবনে মিজান ও দেওয়ান নজরুলের সাথে কাজ করার সুযোগ মিলে। ৭৭ সালে বাংলাদেশ বেতারে চাকরি করেছি। চাকরি পার্মানেন্ট হয়নি। আবারো চলচ্চিত্রে জড়িয়ে পড়ি। আমি ‘টিপটপ বৃষ্টি, দোস্ত-দুশমন, বাহাদুর, আসামী হাজির’সহ অসংখ্য ছবিতে কাজ করি। এরপর নারায়ণগঞ্জের পরিচালক তমিজউদ্দিন রিজভীর ‘জবাবদিহি’ ছবিতে কাজ করি। আমার নাটকে ডালিয়া, রোজিনা, নিশাত ও মৌসুমী কাজ করেন।
আমি চলচ্চিত্রলীগ, চলচ্চিত্র উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি, বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বন্দর শিল্পকলা একাডেমি ও শিল্পী সমিতির সদস্য। আমি তিন পুত্র সন্তানের জনক। আমার দুই ছেলে বিবিএ ও এক ছেলে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
- দেবীর সাজে নারায়ণগঞ্জে অপু বিশ্বাস
- সালমানের গোপন স্ত্রী ভারতী !
- নোবেলের মতো রকস্টারের সঙ্গে গান গাইতে পারাটা আমার সৌভাগ্য হবে
- সালমানের ‘ভালবাসা’ চলে গেলো পরপারে
- রূপগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় গোলাগুলি !
- শহীদ মিনারে চাইনা,মসজিদের পাশে চাই: কনক চাঁপা
- সালমানের প্রথম প্রেমিকার মেয়ে বলিউড নায়িকা !
- মায়ের পাশে আজ শায়িত করা হবে আইয়ুব বাচ্চুকে
- নিকের জুতা লুকাতে ৫ মিলিয়ন চেয়েছেন পরিণীতি, মিলছে....
- বিয়ে করেছেন হ্যারি পটারের সেই বাংলাদেশি অভিনেত্রী (ছবি সহ)
- কিডন্যাপ হয়েছেন অভিনেত্রী তিশা !
- ছেলের নাম রাখলেন শাহিদ
- এমপি হতে চান হিরো আলম, গুজব নয় সত্যি !
- ভাবতাম নারায়ণগঞ্জ অনেক দূরে, অথচ মাত্র ৩০ মিনিটের পথ : অমিত হাসান
- সালমান মুক্তাদির আটক