শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘুষ না দেয়ায় ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জে আ: আজিজ (৫১) নামে এ ব্যাক্তির কাছ থেকে দাবিকৃত ঘুষ না পেয়ে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল হক’র বিরুদ্ধে। 


তবে এ বিষয়ে সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল বলেন, গ্রেফতারের সময় নাম, পিতার নাম যাচাই করা হয়েছে। পরে তাকে থানায় নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। এবং ওসি স্যারকেও অবগত করেছি। এরপর কি হয়েছে আমার কিছু জানা নেই। 


পরে ভুক্তভোগী আজিজ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। আ: আজিজ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলী নয়াপাড়া এলাকার মদল খাঁনের ছেলে।  


অভিযোগকারী তাঁর আবেদনে বলেছেন, তিনি চেীধুরী বাড়ী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি মাইক ভাড়া দেওয়ার দোকান দিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। দিন এনে দিন খাওয়ার মত তার অবস্থা। গত ১০ ডিসেম্বর সে তাঁর দোকানে কাজ শেষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দারোগা আমিনুল কয়েকজন পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাকে বলে- তোর নামে ওয়ারেন্ট আছে। 

 

তখন আজিজ বলে আমার নামে তো কোন মামলা নাই তাহলে কিভাবে ওয়ারেন্ট হইল ? তখন ওই দারোগা তাঁকে ( আজিজকে) বলে তোর বাপের নাম মুন্টা আলী আহম্মেদ। তোর নামে বিদ্যুৎ এর ওয়ারেন্ট আছে। তখন আ: আজিজ দারোগা আমিনুলকে আইডি কার্ড ( জাতীয় পরিচয়পত্র) দেখিয়ে বলে তাঁর পিতার নাম মুন্টা আলী নয়। 

 

অভিযোগে আ: আজিজ আরো উল্লেখ করেন, দারোগা আমিনুল তখন বলে ৪০ হাজার টাকা দিতে নইলে চালান করে দিবে। টাকা দিতে না পারায় আজিজকে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়। 

 

থানায় গিয়ে ওসি কামরুল ফারুককেও আ: আজিজ বলেন, তাঁর পিতার নাম মুন্টা আলী আহাম্মদ নয়। তাঁর পিতার নাম মাদাল খান এবং ডাক নাম মঙ্গল খান। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদও ওসিকে দেখায়। তারপরও ওসি আ: আজিজকে গালমন্দ করে এবং চালান করে দিতে বলে।

 

পরের দিন ( ১১ ডিসেম্বর) আ: আজিজকে সিআর মামলা নম্বর ৭৫৭, বিদ্যুৎ আইনের ৩৯/৪৭ ধারায় ওয়ারেন্ট মূলে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আ: আজিজ নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলের বিচারিক হাকিমের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বললে আদালত তাঁকে জামিন দেন।

 

জামিনে এসে আ: আজিজ থানার ওসির কাছে এ বিষয়ে সুবিচার চায়। ওসি তখন তাঁর একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৩ দিন পর আসতে বলে।

 

৩ দিন পর আ: আজিজ আবারো ওসির কাছে গেলে ওসি তাঁকে অশ্লীল গালিগালাজ করেন এবং এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে আরও মামলায় ঢুকাইয়া জীবনভর জেল খাটানোর হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন আ: আজিজ। ওসি ও দারোগার অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে সুবিচার চেয়েছেন আ: আজিজ।

 

এ ব্যাপারে আ: আজিজ বলেন আমার নামে আমাদের এলাকায় আরো লোক আছে। তাদের কার বাপের নাম কি আমি জানি না। আমার বাপের নাম, পরিচয় যা তা আমি প্রমানসহ দিয়েছি। এসপি সাহেবের কাছে সুবিচার চেয়েছি। আমি সুবিচারের আশায় আছি।

 

 এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সঠিক নয়। ওয়ারেন্ট ছাড়া থানায় কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর