শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঘরবন্দি সময় ফিট থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২০  

ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

স্বাস্থ্য ডেস্ক: লকডাউনের কারণে সারাদিন ধরে কোনওরকম ভারী শারীরিক পরিশ্রম না হওয়ার কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যা পরবর্তীকালে দেখা দিতে পারে। ওজন বৃদ্ধি, গায়ে হাতে ব্যথা, হাঁটুর সমস্যা, বাতের ব্যথা বেড়ে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। আর তাই তাঁরা প্রত্যেকেই ঘরের মধ্যে কিছুটা ঘাম ঝরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। 


লিফ্ট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে বার কয়েক সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশী মজবুত হওয়া ছাড়াও এতে প্রচুর উপকার হয়।


আসুন জেনে নিই প্রতিদিন নিয়ম করে যদি সিঁড়ি ভাঙা হয় তাহলে কি কি উপকার পাওয়া যায়...


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।


মাংসপেশীকে সক্রিয় করে : সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশীগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে।


শারীরিক শক্তি এবং ভারসাম্য বাড়ে: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশী, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শরীরিক শক্তি বাড়ে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।


মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ হয়: শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ‘ভালো’ হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মন ভালো থাকে।


সিঁড়ি ভাঙার নিয়মগুলো জেনে নিন


* সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাকে দৈনিক কসরতের তালিকায় ফেলার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন।
* মেরুদণ্ড সোজা রেখে সিঁড়ি ভাঙুন
* একদম প্রথমেই খুব বেশি সিরি ভানবেন না
* যে কোনও চটি বা জুতো না পরে স্পোর্টস শু পরে সিঁড়ি ভাঙা অভ্যাস করুন
 

এই বিভাগের আরো খবর